চাঁদপুর প্রতিনিধি :-
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে এক ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাবলা ডাকাত ওরফে উজ্জ্বল খালাসির বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ আলম মোল্লা বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে গজারিয়া উপজেলা পরিষদে আসি। দুপুর দুইটার দিকে খাবার খেতে পরিষদের পুরাতন গেট সংলগ্ন আল-মদিনা হোটেলে যাই। ভেতরে গিয়ে দেখি দুটি টেবিলে ১৪-১৫ জন লোক বসে রয়েছেন। তারা উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলায় আশপাশের লোকজনের সমস্যা হচ্ছে বিধায় তাদের শান্ত হতে বলি। আমি জানতাম না তারা কারা। পরে এক লোক আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। তার দেখাদেখি আরও কয়েকজন আমাকে কিল-ঘুসি মারতে থাকেন।
এক পর্যায়ে জানতে পারি নৌ ডাকাত বাবলা তার সহযোগীদের নিয়ে এখানে এসেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরিচিতদের জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবলা ও তার সহযোগীরা গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে নদীর পাড়ের দিকে চলে যায়। তারা স্পিডবোটে উঠে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হক বলেন, তিন চার রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। তার কিছুক্ষণ পর দেখি দুটি স্পিডবোটে করে কিছু লোক মেঘনা নদীর দিকে চলে যাচ্ছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, শুনেছি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে বাবলা ডাকাত ছিল কিনা বলতে পারছি না। সশস্ত্র মহড়া বা ফাঁকা গুলিবর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমার জানা নেই। এবিষয়ে নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, বাবলা ডাকাত তার সহযোগীদের নিয়ে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফুলদী নদীতে স্পিডবোর্ডে করে যাওয়ার সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে এমন একটি খবর আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাবলা ডাকাত ওরফে উজ্জ্বল খালাসির নামে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে চাঁদপুর থানায় আটটি, মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ২২টি, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪টি ও শরীয়তপুরে ৩টি মামলা রয়েছে।