মোঃ মোশারফ হোসেন কাউনিয়া রংপুর প্রতিনিধিঃ-
বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। গদাই গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। চর এলাকার মানুষের তথ্য মতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে দীপচর ঢুষমারা,তালুক শাহবাজ,পূর্ব নিজপাড়ার অংশ ,গোপীডাঙ্গা,আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ,শনশনিয়া,চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁর চর গ্রামের নিম্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও আমন ধানের বীজ তলা, উঠতি বাদাম খেত পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। পানি বৃদ্ধি পেলে আরো নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উজানের ঢলে বুধবার সকাল থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে করে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়া উপজেলার বেশ কয়েক টি তিস্তার চর এলাকায় পানি প্রবেশ করে, তার মধ্যে দীপচর ঢুষমারা, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ , তালুক শাহবাজের অংশ, গোপীডাঙ্গা,আরাজি হরিশ্বর, প্রাননাধ, আজম খাঁ,চর গনাই গ্রামের আমন ধানের বীজ তলা ও প্রায় ৫শ’ একর জমির উঠতি বাদাম খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাায় ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। একারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দীপচর ঢুষমারার এলাকার চাষী কুব্বাত মিয়া বলেন বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের এলাকার ২ শ’ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ও আমন ধান বীজ তলা,বাদাম খেত ও বিভিন্ন সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে । এ ব্যাপারে বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনছার আলী বলেন তার এলাকায় ৫ টি গ্রামের নিস্ন অঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং গদাই গ্রামে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব বলেন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশ করছে। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি । তবে উপজেলা প্রশাসন ও আমরা ত্রান বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢল না আসলে তিস্তার পানি আগামী কাল থেকে কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশা পোষন করছেন।এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) মহিদুল হক বলেন বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে ব্যাপারে সরকারীভাবে সকল ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। পাশাপশি স্থানীয় প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।
তাং ১৯-০৬-২০২৪
মোবাইলঃ ০১৭২৫৬৭১৯০২