মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সাল শুধু মুছলেকা রেখে চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক চোরকে থানায় না ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র জানায়,মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ইউএনও অফিসের নীচের তালা ভেঙ্গে স্থানীয় গুমুটিয়ার এক লোকের বাইসাইকেল চুরি ঘটে।উপজেলার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয় মীরনগর প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরী জহিরুল ইসলাম ও কাটিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মুজাহিদ নামে দুই লোককে চোর সনাক্ত করা করে ইউএনও একেএম ফয়সাল।পরে আজ বুধবার (১ মে) অজানা কারণে শুধুমাত্র মুছলেকা দিয়ে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম ও মুজাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন জানান,চুরির ঘটনা ঘটেছে সত্য। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। ইউএনও স্যার আইনের লোক। তিনি যা করেছেন আইনের বাইরে কিছু করেননি।
জানা যায়,অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম উপজেলা আন্দিউড়া ইউপির মীরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে কর্মরত।বিদ্যালয়ের অফিসের বই ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করার অভিযোগ রয়েছে ওই দপ্তরীর বিরুদ্ধে । তার ভয়ে অনেকে কথা বলেন না।তার ঘনিষ্ঠ লোকেরা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তাকে সবসময় বাঁচিয়ে রাখেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দপ্তরী জহুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে তাকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ হয় নি। অন্য অভিযুক্ত দপ্তরী ফোনে প্রতিবেদকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে জানতে ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
এদিকে ক্রমাগত উপজেলা জুড়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। ইউএনও কর্তৃক প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চুরির দায়ে অভিযুক্তদের পুলিশ সোপর্দ না করে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় চরম দায়িত্ব অবহেলা ও আইনের লংঘন বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।