বন্ধুগণ,দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
সাংবাদিকঃ দেলোয়ার হোসেনঃ
কোনো সভা অনুষ্ঠান হলে জনগণের কাতারে বসতে হবে!কোনো ফুল নয়-স্টেজ সাজানো নয়!তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বস্তরের কর্মীদের কষ্ট দেয়া যাবে না!নেতা কর্মীরা জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন! সংক্ষিপ্ত আকারে জানুন!
??????????????????????????????????????
ব্যাখ্যাঃবন্ধুগণ, সাধারণ সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে জানাতে চাই।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৈতিক চরিত্র, আদর্শ এবং দেশপ্রেম জাগরিত করতে একটু সচেতন হতে হবে।আপনি এতো বার এদেশের প্রধান মন্ত্রী হয়ে, এদেশের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন।পরিণামে কি পেয়েছেন।বলতে পারেন, কি পেলাম, কি পেলাম না ভাববার বিষয় না।আমি বলবো ভাববার বিষয় আছে।এদেশের সাধারণ মানুষ কি চায়, তা হয়তো আপনার সামনে তুলে ধরা হয় না।আপনাকে সাধারণ মানুষের চাওয়া এবং পাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে।আপনাকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় প্রতি মুহূর্তে খবর নিতে হবে।সে বিষয়টা যদি আপনি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। তাহলে এদেশের সাধারণ জনগণ আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন ভুলবেন না।সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের রক্ত- মাংস আর আপনার রক্ত- মাংস তো একই।হতদরিদ্র মানুষ গুলো যখন বিভিন্ন সভা/ অনুষ্ঠানে মাটিতে বসতে পারে, তাহলে নেতারা মাটিতে বসতে সমস্যা কোথায়?সাধারণ জনগণ এক কাফ চায়ের বিনিময়ে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকেন।কয়জন নেতা জীবন দিয়েছেন।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে।সবাই তো আর টাকার বিনিময়ে সভা/অনুষ্ঠানে আসেন না।আপনাকে ভালো বাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা তো আর কম নয়।
আপনি একটু খবর নিয়ে দেখুন।সভা- অনুষ্ঠানে যখন স্টেজ সাজানো হয়, ফুল দেয়া হয়, খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়, বেনার টাঙ্গানো হয়, পেস্টুন দেয়া হয়, তখন এই খরচের টাকাগুলো কারা দেয়? নেতারা দেন?তাহলে বাস্তব সত্যতা বলি।ছোট কর্মীদের উপর এই দায়িত্বগুলো দেয়া হয়। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে কর্মীদের অর্পিত নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো।কর্মীরা এই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হয়তো বাবার ঘরে চুরি করতে হবে, হয়তো মাদক বিক্রি করতে হবে, হয়তো চাঁদাবাজি করতে হবে। সমাজ, মহল্লায়, দেশে এধরণের কর্মকাণ্ড হলে, সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন কখনো সম্ভব নহে।সাধারণ মানুষ চায় একটু মাত্র শান্তি।আমাদের দেশের সকল স্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হলে নাটের গুরুদের প্রতি সতর্ক বাণী কঠোর ভাবে দেয়া উচিত।প্রসংঙ্গ ক্রমে বলতে হয়, আমি এক নেতাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা জনগণের সুখ- দুঃখে কেমন কাটাচ্ছেন? ভাগি হচ্ছেন?না বসে আছেন? জনগণের কাছে যাচ্ছেন?উত্তরে নেতা সাহেব আমাকে বলেছিলেন, যখন ক্ষমতায় থাকি তখন চুপ- চাপ বসে থাকি।এই আমাদের রাজনীতি।
এই ক্ষেত্রে, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ম্যাকিয়ে ভেলির উক্তিটি প্রণিধান যোগ্য বলে আমি মনে করি।উক্তিটি হলো,” সঠিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে কোনো পন্থাই উৎকৃষ্ট “।কর্মীরা দূরে সরে যাচ্ছেন কেন?তারা তো অসহায়।নিজের জীবন যাবে, একটু শোকপ্রকাশ করবে, আর পিতা- মাতা, ভাই -বোন না খেয়ে ভিক্ষা করবে, এমনকি অনাহারে মারাও যাবে। এই অভিশপ্ত জীবন নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে আত্মা কি শান্তি পাবে? সর্বশেষ বলবো, কোনো সভা/অনুষ্ঠান হলে জনগণের কাতারে বসতে হবে, কোনো ফুল নয়, স্টেজ সাজানো নয়, তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বস্তরের কর্মীদের কষ্ট দেয়া যাবে না, নেতা কর্মীরা জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং জনগণের সাথে থাকতে হবে, নির্বাচনের পর হাওয়া হয়ে না যাওয়ার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তাহলেই আপনি সঠিক লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারবেন বলে আশা করি।আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন! জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু!জয় হোক দেশরত্ন জননেত্রী মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং এদেশের জনগণের!আল্লাহ সহায় হোন! আমিন! আপনার,আপনার পরিবারের এবংআমাদের সহায় হোন।আমিন।
মোঃ দেলোয়ার হোসেন জেলা ক্রাইম রিপোর্টার টাঙ্গাইল
মোবাইল ০১৭৬৪৫৭৮১৫০