শেরপুর ঝিনাইগাতীতে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো ভুট্রা চাষী তারার স্বপ্ন!
আল-আমিন স্টাফ রিপোর্টার্স :
কাল বৈশাখী ঝড়ে মুহুর্তের মধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে গেলো হলো ভুট্টা চাষী তারা মিয়ার স্বপ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দুলী গ্রামে। ২৩মার্চ শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম কান্দুলী গ্রামের তারা মিয়া স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ৪কেজি ভুট্টা বীজ ও সার প্রণোদনা নেয়। তার সাথে ওই কৃষক আরো ৪কেজি ভুট্টা ও সার ব্যক্তিগত ভাবে ক্রয় করে ৯০শতক জমিতে গেলো ডিসেম্বর মাসে ভুট্টা চাষ করে। এতে ওই ৯০ শতক জমিতে সার, বীজ ও শ্রমিক সহ অন্যান্য ব্যায় বাবদ খরচ হয় প্রায় ৬০হাজার টাকা। ইতিমধ্যে প্রতিকুল আবহাওয়া ও অধিক সেবাযত্নের ফলে তার ক্ষেতে ভুট্রার বাপ্পার ফলন হয়। এরি মধ্যে ক্ষেতের সকল ভুট্টায় ২থেকে ৪টি করে কলা আসে। আর এই কলাগুলো আগামী ১৫-২০দিনের মধ্যে কর্তন করা সম্ভব ছিল। এতে ওই কৃষকের স্বপ্ন ছিল সব খরচ বাদে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লাভ হবে। এ লাভের টাকা দিয়ে সে তার সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু বিধি বাম! হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে কৃষক তারা মিয়ার ৯০ শতক জমির ভুট্টাগাছ ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। ফলে কৃষক তারার সকল স্বপ্ন মুহুর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে এতবড় ক্ষতির কারণে ওই কৃষক এখন বাকহীণ হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত্র কৃষক শাহজালাল ওরফে তারা মিয়া জানান, আমার সকল স্বপ্ন ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো। কিছুতেই এ ক্ষতি আমি মেনে নিতে পারছিনা। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগ যদি আমাকে কিছুটা সহযোগিতা করতো- তাহলে আমার জন্যে ভাল হতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন ভুট্টা চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ভুট্টা চাষীদের তালিকা প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। তারপরেও যদি কোন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আউশ ধানের আবাদ করতে চায়, সেক্ষেত্রে ওই কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দিয়ে সহযোগীতা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষরা বলেন, কৃষি দপ্তরের আশ্বাস নয়, দ্রুত প্রণোদনার ব্যবস্থা করে এই কৃষকদের বাঁচানো হউক।