বিকাশ দাসগুপ্তঃ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আমি মারা যাওয়ার পরে বিভিন্ন সেমিনারে তোমরা বলবা লোকটা ভালো ছিল। আজকে আমার খাওয়া নেই। পরনে ভালো জামা কাপড় নেই। আজকে আত্মীয়রা দূরত্বে থাকে অর্থ নেই বলে।
বন্ধুদের দামি পার্টিতে দাওয়াত আসে না। আপন সন্তানেরাও আজকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে। অর্ধাহারে অনাহারে শরীর নিশক্তি। জীবনে চলার পথে পর্যাপ্ত সময় ব্যয় হয়ে গেছে শুধু লেখালেখি করে। প্রায় দুই কোটি শব্দ লিখেছি।
এককথায় সাহিত্যচর্চায় প্রায় সাহিত্যের সকল বিষয়েই লেখালেখি করেছি। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে দৈনিক প্রথম আলো, ইতেকাফ, যুগান্তর,জনকন্ঠ, বাংলাবাজার,আজকের কাগজ আল আমীন, সহ সাপ্তাহিক পাক্ষিক মাসিক শতাধিক পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেছি।
বর্তমানে বেশ কিছু প্রিন্ট পত্রিকায় অনলাইন পত্রিকায় লেখালেখি করছি।
যেমন দৈনিক সংবাদ চিত্র, দৈনিক নবদেশ 24 ডটকম, দৈনিক আমাদের কাগজ. দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস, প্রচেষ্টা নিউজ পিএন টিভি, সবুজ সময় ডটকম, বাংলাদেশ ভূমি, প্রিন্স নিউজ ডটকমসহ অসংখ্য পত্রিকায়।
2002 সাল থেকে আজ পযর্ন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবৈতনিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সমাজ উন্নয়নে। সমাজ উন্নয়নে দেশ উন্নয়নে শিক্ষা উন্নয়নসহ মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করেই যাচ্ছি।
এই যে আমাদের সমাজ এবং সমাজের ব্যক্তি লোভী মানুষ গুলো। এদের কাছে কারো কোনো প্রতিভার কদর নেই। ওদের কাছে সততা এবং আদর্শবান লোকদের কোনো কদর নেই। ওদের চরিত্র যেন ফুটপাতের অবাঞ্চিত কুকুরের মতো। ওরা সবসময় পয়সা ওয়ালা লোকটার দিকে থাকিয়ে তাকে। রাস্তা বা শহরের কুকুর গুলো যেমন সবসময় কোনো না কোনো দোকানের সামনে ঘুরাঘুরি করে। যে যা দেয় তাই খায়।
আমাদের সমাজে বর্তমানে জ্ঞানী লোকের কোনো কদর নেই। অথচ শুধু জ্ঞান অর্জন করার শত শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে যেমন রাষ্ট্রের। তেমনি প্রতিটা পরিবারে সন্তানের জন্য ব্যয় করছে টাকা।
সমাজে যদি জ্ঞানী লোকের কদর জ্ঞানের কদর। সততা আর আর্দশের কদরই না করা হয় । তাহলে জ্ঞান অর্জনের জন্য টাকা খরচের মানে কি? না। কোনো মানে নেই। টাকাওয়ালা একজন চোরের সম্মান যদি একজন জ্ঞানী লোকের চেয়ে বেশি থাকে তাহলে সমাজ তো অধঃপতনে যাবেই।
অথই নূরুল আমিন
ঢাকা
01/03/ 2024