মােঃ জাহিদ হোসেন , দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
কখনও পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য, কখনও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এমপি-মন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক এমন নানাবিধ পরিচয়ে চাকরি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক শামীমকে (৩৮) নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ্অবশেষে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের খাঁচায় বন্দী প্রতারক শামীম।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) “সরকারী চাকরি দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন শামিম! দেন ভূয়া সুপারিশপত্র” শিরোনামে আমার সংবাদের অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইদিন রাতেই পৌর এলাকার আজাদমোড় থেকে প্রতারক শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ভূক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে রাত ১২টায় ঘোড়াঘাট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করলে, ওই মামলায় প্রতারক শামীমকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তার শামীম মিয়া (৪৮) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধন গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নয়াপাড়া গ্রামে বিবাহ করে বসবাস করছেন।
এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার বাদী সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুক ফয়সালকে গত বছর পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার টাকা নেন গ্রেপ্তার শামীম। বিনিময়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসানের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশ সদর দপ্তরের প্যাডে একটি ভূয়া সুপারিশপত্র ভূক্তভোগী সিরাজুলকে দেন শামীম। পুলিশে নিয়োগে কোন ধরণের অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই। যোগ্যতার ভিত্তিতে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পুলিশে নিয়োগ সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতারক শামীম একজন প্রতারক এবং প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামীকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার প্রতারক শামীম মিয়াকে শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘোড়াঘাট সহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু লোককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি। সেসব বিষয়েও আমরা তদন্ত করছি।’