মাটি মামুন রংপুর :-
রংপুরে ক্লিনিকের বিল পরিশোধে বাবা ওয়াসিম
আকরামের নবজাতক বিক্রির ঘটনায় অভিযুক্ত
হলি ক্রিসেন্ট হসপিটাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে
সিলগালা করেছে প্রশাসন।
উদ্ধার হওয়া অসুস্থ নবজাতককে চিকিৎসা শেষে গতকাল সোমবার তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন আদালত। তবে স্বামীসহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। শিশুটির মা লাবনী আক্তার। গতকাল সোমবার ক্লিনিকের বিল পরিশোধে নবজাতক বিক্রি’ শিরোনামে রংপুরের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর ভূরারঘাট এলাকার লাল মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তারের দুই বছর আগে বিয়ে হয় একই এলাকার রাজমিস্ত্রি ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে। অন্তস্বত্ত্বা লাবনী গত ১৩ জানুয়ারি পূর্ব পরিচিত পল্লী চিকিৎসক এমএস রহমান রনির মালিকানাধীন হলি
ক্রিসেন্ট হসপিটালে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন। ওইদিন রাতে সিজারের মাধ্যমে তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু এই দম্পতি টাকার অভাবে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করতে পারছিলেন। পরে ক্লিনিক পরিচালক রনি শিশুটির বাবা ওয়াসিমকে সন্তান বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধসহ আরও টাকা দেওয়ার লোভ দেখান।
সে ফাঁদে পা দিয়ে ওয়াসিম গত ১৭ জানুয়ারি কৌশলে ক্লিনিক পরিচালক রনির পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার
বিথী ও রুবেল হোসেন রতনের কাছে 80 হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনা মা লাবনী আক্তার পুলিশকে জানান ও কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশ হাসপাতাল পরিচালক রনি ও নবজাতক কেনা বিথী রতন দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে। তবে অভিযুক্ত ওয়াসিম এখনও পলাতক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই মজনু মিয়া জানান, উদ্ধারের পর নবজাতকটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রোববার বিকেলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজহা সপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
সুস্থ হলে গতকাল সেই নবজাতককে তার মায়ের
জিম্মায় হস্তান্তর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল পাঠানপাড়া এলাকায় লাবনী আক্তারের বাড়ি গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, স্বামী ওয়াসিম পলাতক। বাড়িওয়ালাও ভাড়া নেওয়া ঘরে তাকে থাকতে দিতে ভয়
পাচ্ছেন। এখন ছোট সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবেন কী খাবেন সে চিন্তায় আছেন। স্বামীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি।
এদিকে গতকাল সকালে রংপুরের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল হলি ক্রিসেন্ট হসপিটালটি পরিদর্শন করে তা বন্ধসহ সিলগালা করে দেন। সিভিল সার্জন ডা.ওয়াজেদ আলী বলেন, হাসপাতালটি অবৈধ।