শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে তিন সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানি করে রাতের অন্ধকারে হত্যার চেষ্টা
আল আমিন স্টাফ রিপোর্টার্সঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ১ নং কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি হালচাটি গ্রামে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং রবিবার রাত ১০.০০ ঘটিকায় রাতের অন্ধকারে ফজিরন নেছা (৩০) কে ঐ এলাকার আব্দুর রশিদ, ফারুক মিয়া,লুতফর রহমান ও হাবিবুল্লাহ মিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্লীলতাহানি করে হত্যার চেষ্টা করে।
নির্যাতিত ফজিরন নেছা গান্ধীগাও গ্রামের মুসা মিয়ার (৪০) স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।
মুসা মিয়া জানান, ঘটনার দিন রাতে আমি এবং আমার স্ত্রী ফজিরন ধান লাগানোর জন্য কাজের লোকের খুজে আধিবাসীদের গ্রামে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে পাহাড়ি রাস্তায় রাতের অন্ধকারে ঐ এলাকার আব্দুর রশিদ, ফারুক মিয়া,লুতফর রহমান ও হাবিবুল্লাহ মিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গল থেকে বের হয়ে পেছন থেকে আক্রমণ করে। তাদের কয়েক জন আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধাওয়া করে।
আমি জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে একটু আড়ালে গেলে তখন সবাই মিলে আমার স্ত্রীকে আক্রমণ করে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী নিজেকে বাঁচানোর জন্য পাশেই একটা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে আক্রমণ কারিরা সেখানে গিয়েই সবার সামনে আমার স্ত্রী কে শ্লীলতাহানি করে, দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর শুরু করলে ঐ বাড়ির লোকজন চিৎকার চেচামেচি করলে এলাকার লোকজন দৌড়ে এসে আমার স্ত্রী ফজিরনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করে।
মুসা মিয়া জানান,আসামিরা পূর্ব থেকেই গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে আসছে।এলাকাবাসী সবাই যানে আসামিরা নারী লোভী,ভূমিদস্যু ও খারাপ প্রকৃতির লোক। এমনকি আসামীদের জমির উপর দিয়ে যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও সাধারণ মানুষকে দিতে হয় মোটা অংকের টেক্স।
আমরা এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে আসামিরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।
তাই মুসা মিয়া বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ জানায়, এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইন অনুযায়ী