আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বনাম ভোট প্রদানে জনগণের প্রতিবন্ধকতা।
অথই নূরুল আমিন
মনোনয়ন বোর্ড এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। জনগণের মতামত এখানে উপেক্ষিত। হায়রে রাজনীতি। 30% নৌকার মাঝির কোনো জনপ্রিয়তা নেই। জানি না ভবিষ্যতে আর কি দেখতে হবে। হায়রে বাংলাদেশের অন্ধ সংবিধান। কেউ কোনো কথা বলে না।
সবাই যেন স্রোতের ভাটিতে গা ভাসিয়ে চলছে তো চলছেই। আওয়ামী লীগসহ দেশের রাজনীতি অঙ্গনে যেন চলছে শুভংকরের ফাঁকি। দিনে দুপুরেই দেশের জনগণকে জিম্মি করে চলছে দিবা ভোট ডাকাতি।
ভোটাররা ভোট দিবে সেখানেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি। যেখানে পছন্দের মার্কা আছে। সেখানে ব্যক্তি পছন্দ নয়। যেখানে ব্যক্তি পছন্দ সেখানে মার্কা পছন্দ নয়।
আমরা আসলেই সবাই মিলে কোনো ভুল পথে হাটছি না তো। আমাদের দেশের রাজনীতির কেন এরকম অগোছালো অবস্থা। কেন একটি দল থেকে প্রার্থী মনোনীত হবে। আর দল থেকেই যদি প্রার্থী মনোনীত হয়। তাহলে আর ভোট কেন দরকার?
আওয়ামী লীগের পনেরো জনের মনোনয়ন বোর্ড কি করে এগারো কোটি মানুষের পছন্দ অপছন্দ যাছাই করে। এটা এই জাতি আসলেই বুঝতে পারে না। তবে জানতে চায়। একটি আসনে পনেরো জন প্রার্থী যদি একজন প্রার্থী পনেরো জনে মিলে বাছাই করতে পারে তাহলে তো তারাই সব। তাদের পছন্দের প্রার্থী আবার ভোট যুদ্ধে নেমে জনগণের কাছে ভোটের জন্য কান্নাকাটিও করতে দেখা যায়।
আমার মতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উন্মুক্ত। আমি এর আগেও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে লেখালেখি করেছি। উন্মুক্ত জাতীয় নির্বাচনে এখানে যেকোনো লোক প্রার্থী হতে পারবে। তবে জাতীয় কোনো মার্কা থাকবে না কোনো প্রার্থীর। যত খুশি তত প্রার্থী হোক।
উন্মুক্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ প্রার্থী বিজয়ী হবে তবে এটা থাকবে ব্যালট নং । জাতীয় নির্বাচন যে তারিখে হবে। তার 30 দিন পর এই তিনশ প্রার্থী হবেন সংসদ ভোটার। সেই সংসদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলার জাতীয় মার্কায় তিনশ ভোটার নিয়ে হবে সরকার গঠন নির্বাচন। এই নির্বাচনে যে দল বেশি ভোট পাবে। সেই দল আসবে ক্ষমতায়। কেন এরকম একটি জন স্বার্থের বিষয় চালু হয়না। কেন বা কোন কারণে এটা সমগ্র জাতির কাছে আমার প্রশ্ন?
যারা সংবিধানের দোহাই দেয় তাদের কাছে প্রশ্ন। দেশে সংবিধান মতে কি কোনো আইন চলে? এই রকম প্রশ্নের জবাবে জনগণ বলবে না। আর রাজনীতি দল গুলো থাকবে নীরব। এভাবে আমরা আর কতদিন। আমার কাছে মনে হয় আমরা ভোটাররা যেন দেশের প্রতিবন্ধী সন্তান। আমাদের ভোট দেবার ইচ্ছে থাকা সত্যেও যোগ্য জায়গায় প্রয়োগ করতে পারছি না ভোট। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পযর্ন্ত আমাদের আশায় যেন বারবার বারংবার হতাশা আর দুরাশাই রয়ে গেল।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
28/11/2023