১৪৫ দিন পর দেশে এলো সৌদি প্রবাসীর লাশ,থামলো মায়ের আর্তচিৎকার
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
মায়ের আর্তচিৎকার ও স্বজনদের আহাজারি। কখন আসবে রুবেলের মরদেহ। এলাকাজুড়ে মানুষের মধ্যে অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না। সেই অপেক্ষা শেষ হলো ৪ মাস ২৫ দিন পর। সৌদি প্রবাসী রুবেল হোসেনের মরদেহ এলো তার নিজ জন্মভূমিতে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছায় শার্শার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের বাড়িতে। মরদেহ পৌছানোর সাথে শুরু হয় মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহত রুবেল হোসেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৭নং কায়বা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বাগুড়ী গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেনের ছেলে।
আছরবাদ নামাজে জানাজা শেষে বাগআঁচড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারে স্বচ্ছতা ফিরাতে প্রায় দেড় বছর আগে রুবেল হোসেন সৌদি আরবে যায়। সে একটি মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু কুরবানী ঈদের কারনে ওই মাদ্রাসা টি দুই মাস ছুটি হয়ে যায়। ছুটির কারণে মাদ্রাসায় কাজ না থাকায় রুবেল হোসেন তার একজন পরিচিত জনের সাথে অন্য জায়গায় সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করার কাজে যাই। ওই সেফটি ট্যাংকে মধ্যে পড়ে রুবেল হোসেন অচেতন হয়ে যায়। পরে তার সহযোগীরা উদ্ধার করে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহত রুবেল হোসেনের লাশ বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৬ জুলাই বুধবার দুপুর ২ টার সময় তার নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কফিন খুলে দেখা যায় কফিনের ভিতরে রুবেলের লাশ নেই।
নিহত প্রবাসী রুবেল হোসেনের ঠিকানায় যে লাশটি পাঠানো হয়েছিলো। ওই লাশটি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার জবডল গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের।
এর পর থেকে শুরু হয় রুবেল হোসেনের মরদেহ আসার অপেক্ষা। আর লাশ আসার পরে রুবেলের মা সহ স্বজনদের অপেক্ষার পালা শেষ হলো।
কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে রুবেলের লাশ তার পরিবার হাতে পেয়েছে। আমি দলীয় কাজে ঢাকায় আছি। রুবেলের পরিবার আমাকে ফোন দিয়েছিল আমি তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়েছি।