একটি জাতিগত ঐক্য ছাড়া কোনো জাতি বড় হতে পারে না অথই নূরুল আমিন
বিকাশ দাসগুপ্তঃবিশেষ প্রতিনিধিঃ
আমার আজকের এই লেখায় খুব পিছনে যাবো না। শুধু আওয়ামী লীগের গত পনেরো বছর থেকে শুরু করলাম। এই মাত্র একজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক চলনবিলের আলো’র প্রকাশকও সম্পাদক সাহেব আমাকে ফোন দিলেন তিনি আমার কথা শুনেছেন এবং আমাকে তিনি খুব ভালোবাসেন। এরকম কথা হলো।
যাক সে কথা দেশের সকল সাংবাদিক কিন্তু তারা ঐক্য নয়। দেশে কমপক্ষে পনেরোটির অধিক সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে। এখানে যেমন রয়েছে মতের অমিল তেমনি রয়েছে পদাধিকার বিষয়। যেমন ক্রাইম, বিনোদন, খেলাধুলা, ফটো সাংবাদিক সহ ইত্যাদি পদবী। শর্ত থাকে যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাংবাদিক গণেরা যা দাবি তার পনেরো ভাগ দাবী পূরণ হয়েছে। আমার অনেক কলামে লেখা আছে আমি চাই সাংবাদিক গণের একটি আইডি কার্ড থাকবে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা। আরেকটি কার্ড থাকবে তিনি যে মিডিয়ায় কাজ করবেন। সেই মিডিয়ার। এই ধরনের দাবী কিন্তু কোনো সাংবাদিক সংগঠন করেনি। আমার কথা হলো সরকার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে পারে। তাহলে সাংবাদিক লাইসেন্স কেন নয়।
তারপর বলি শ্রমিক। দেশ জুড়ে শ্রমিক সংগঠন যেন দুই ডজনের বেশি। এই যে মত প্রার্থক্য কার আগে কে নেতা হবে এরকম ভ্রান্ত ধারণা। তাই তো আমরা সরকারের কাছ থেকে দাবী আদায় করতে পারছি না।
এই আদায় করা না করা নিয়ে প্রশ্ন নাইবা করলাম। আমার কথা হলো আমরা কেন জাতিগত ঐক্য হতে পারলাম না। আমরা কেন সবাই মিলে ভালোকে ভালো মন্দকে মন্দ বলছি না। আমরা কেন জাতিগত লোকসানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হইতে পারি না। আমরা কেন জাতিগত বিজয়ে সবাই ঐক্য হতে পারি না। আমরা কি সারাজীবন নিজের পায়ে নিজেরা কুড়াল মেরেই যাবো। আমাদের চৈতন্য কি কখনও উদয় হবে না।
আসুন সবাই ঐক্য হই। সবাই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার অভ্যাস গড়ে তুলি।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
16/11/2023