মোঃনুরনবী প্রতিনিধি বালিয়াডাঙ্গী,ঠাকুরগাঁও:-
ভাত বাঙ্গালী জাতির প্রধান খাদ্য, আর এই চাল আসে ধান থেকে। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের জুরি নেই তবে,এবার সারা দেশের ন্যায় দেশের উওর অঞ্চল ঠাকুর গাঁও জেলায় আমন ধান চাষ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৪ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ১৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর। যাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন।আষাঢ় -শ্রাবণ এই দুই মাস বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন চাষে ব্যস্ত থাকে কৃষক। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ ব্যবস্হা হিসেবে বেছে নিয়েছে সেচপাম্প কিংবা গভীর নলকূপ।শুষ্ক বৈরি আবহাওয়ার কারনে কৃষি জমিতে আগাছা নাশক ছিটিয়ে দিলেও কাজ হয়নি যার ফলে ধানের আগাছা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। ঠাকুর গাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষক মনসুর আলম জানান, আমি বিশ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি কিন্তু আষাঢ় -শ্রাবণে বৃষ্টি কম হওয়ায় জমিতে আগাছা হয়েছে তবে কিছুদিন ধরে বৃষ্টির আনাগোনার ফলে আমরা ধান ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছি।দিন মুজুর আবু কালাম জানান, প্রতিদিনই আমি ধান নিড়ানির কাজ করে ৪০০থেকে ৫০০টাকা আয় করি যা গতবারের তুলনায় এবছর ধান ক্ষেতে আগাছার পরিমাণ একটু হলেও বেশি।
প্রধান পাড়ার কৃষক আবু হানিফ প্রধান জানান, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় আমান চাষে লোকসানের প্রহর গুনতে হচ্ছে বেশির ভাগ নির্ভর করতে হচ্ছে গভীর নলকূপ কিংবা সেচ পাম্প, একদিকে যেমন ডিজেলর দাম একটু বেশি অপর দিকে সঠিক সময়ে জমিতে না দিতে পেরে আগাছা নাশক ঔষধ ছিটালে তেমন একটা কাজ হয়নি যার ফলে ধানক্ষেতে গত বছরের তুলনায় আগাছা একটু বেশি।এসময় তিনি আরো বলেন যদিও কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে ভাবছি আগাছা পরিষ্কার করে রাসায়নিক সার ছিটাবো কিন্তু এমন সময় কোন দিনমুজুর পাচ্ছি না সবাই কাজে ব্যস্ত। বিশিষ্ট কীটনাশক ব্যাবসায়ী ফাইজুল হক জানান ধান ক্ষেতে তিন থেকে চার ইঞ্চি পানি রেখে আগাছা নাশক ঔষধ ছিটালে আগাছা তেমন একটা জন্মায় না কিন্তু এবছর প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কারণে কৃষক সঠিক সময়ে আগাছা নাশক ঔষধ ছিটাতে পারেনি যার ফলে ধান ক্ষেতে গত বছরের তুলনায় আগাছার পরিমাণ এবছর একটু বেশি।