মাটি মামুনঃ রংপুর প্রতিনিধিঃ-
গত ২ জুলাই ২০২৩ রবিবার রাত ১২ দিকে নজিরের হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাইকেল গ্যারেজের ভিতর ঘটনাটি ঘটে। নজিরের হাট ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি লিটন মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আকরাম-এর উদ্যোগে পূর্বের কারেন্ট বিল নিয়ে উভয়ের মধ্যে টানাপোড়ন সৃষ্টির মিমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয় এবং দুই পক্ষের অভিযোগ শুনার পরে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসে ও দুই পক্ষ রাজিও হয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন সাথে ভিকটিমদের পূর্বশত্রুতার জেরে উৎসকানিমূলক কথা বলিয়ে উপস্থিত মকবুল হোসেন কাউন্সিলরের গুন্ডাবাহিনী মাহাবুল হোসেন, মিলন মিয়া, আনারুল ইসলাম, রাসেদুল, কাউন্সিলরের ছেলে সবুজ মিয়াসহ ১০/১২ অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক লেলিয়ে দিয়ে ভিক্টিম মাসুদ রানা, তার বাবা শাহ আলম, তার ছোট ছেলে মিলনসহ সাংবাদিক মোশারফকে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে। সূত্র মতে, নজিরের হাট কাঁচা বাজার সমিতির সদস্য ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মজমুল হক স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার সাথে জেনারেটর এবং তাদের বিদ্যুৎ চালানো ব্যবসার চুক্তিনামা স্ট্যাম্পে লিখিত হয় এবং এক বছরের জন্য ডীড করে দেয় যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার কাছে।
তারা ডীড অনুযায়ী ব্যবসা নিয়মিত চালিয়ে যান সুন্দরভাবে কিন্তু মহামারি করোনার সময় সঠিকভাবে ব্যবসা করতে না পেরে বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিল মাসুদ রানা। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ এক বছর ডীড শেষ হয়ে যাওয়ায় জেনারেটরসহ সবকিছু মাসুদ রানার কাছ থেকে ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব দেয়, মজমুল হক ও তার সদস্য রাসেদুল ইসলাম। ব্যবসা চলাকালিন কিছু টাকা দোকানদারদের কাছে পাওনা থেকে যায় মাসুদ রানা তৎকালিন সময়ে। যার টাকার পরিমাণ ২৬,০০০ মতো, চুক্তিনামায় জামানত ছিল ২০,০০০ টাকা সব মিলে ৪৬,০০০ টাকা ব্যবসায়ীক লেনদেনের মাঝে মাসুদ রানার কাছে বকেয়া বিল বাবদ ৯৭,০০০ টাকা জের থাকে। মাসুদ রানার ব্যবসায় লোকশন হওয়ায় জামানতের ২০,০০০ ও দোকানদারের কাছে বকেয়া বাবদ ২৬,০০০ টাকা মজমুল ও রাসেদুল ইসলাম পাওনা হয়। সেই টাকার কারণে তৎকালীন কাউন্সিল রবিউল আবেদিন রতনের কাছে অভিযোগ করেন মজমুল, রাসেদুল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুদ রানার বাবাকে ডেকে আনে কাউন্সিল, এবং তার বাবা শাহ্ আলমকে বলে টাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা হয়েও যায়।
সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে সব টাকা কাটাকাটি করে বাকি ৯৭,০০০ হাজার টাকা থেকে ৪৬,০০০ বাদ দিয়ে বাকি ৫১,০০০ টাকা পাওনা হয় মজমুল ও রাশেদুল, এবং বাকি ৫১,০০০ টাকার একটি চেক প্রদান করা হয় ও বলা হয় দুই মাস পরে টাকাটা ব্যাংকে লাগানো হবে, তখন তারা চেক নিয়ে গিয়ে টাকা তুলতে পারবে কিন্তু চুড়ান্ত মিমাংসা হওয়ার পরেও তারা বিচারকের কথা অমান্য করে মাসুদ রানাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নজিরের হাট বাজারে অপমান করে এবং তাতেও খান্ত না হয়ে রংপুর জেলা জজকোর্টে গিয়ে মিথ্যা জিডি করে মাসুদ রানা ও তার ভাই সাংবাদিক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে। সেখানেও কোন সুরাহা না পেয়ে নজিরের হাট ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করে তারি সুত্র ধরে মিমাংসায় বসে নজিরের হাট ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সভাপতি লিটন মানিক, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আকরাম ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মকবুল হোসেন।
দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়ে আসে এবং দুই পক্ষে রাজিও হয় কিন্তু এক পর্যায়ে পারিবারিক প্রতিহিংসাকে কেন্দ্র করে কাউন্সিল মকবুল হোসেন ভিকটিম মাসুদ রানা ও তার বাবা শাহ্ আলমকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেন তার গুন্ডা বাহিনীকে। তার নিজের ছেলে সবুজ মিয়াকে মুটো ফোনে ফোন দিয়ে ডেকে আনে মাহাবুল, মিলন, রাসেদুল, আনারুল ইসলাম নাম না জানা ১০/১২ জন মিলে মাসুদ রানা ও তার বাবা শাহ আলম, ছোট ভাই মিলনকে মারপিট কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ঘটনার এক পর্যায় তার বড়ো ছেলে সাংবাদিক মোশারফ হোসেন তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি, গলাচেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে মকবুল কাউন্সিলরের গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর মাহাবুল, মিলন মিয়া, সবুজ, আনারুল হোসেন।
পরে হাট কমিটির লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সাংবাদিক মোশারফ, সাংবাদিক হিসাবে তার কাছে জানতে চায়, আপনি জনগণের প্রতিনিধি, আপনি কি করে উস্কানিমূলক কথা বলেন? সংবিধান পরিপন্থী কাজ করেছেন আসলেবলেনতো কোন জায়গায় বলা আছে সালিশি বৈঠকে ভিকটিমকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারধর করার অনুমতি দিতে পারেন? এ কথা বলার সাথে সাথে তার উপর চড়াও হন তার লেলিয়ে দেয়া গুন্ডা বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে এলাকার জনগণের ভিতরে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা আছে।