প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ৫:১৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৭, ২০২৩, ৪:৪৮ এ.এম
রংপুর মহানগর আ’লীগে অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে।

মাটি মামুন রংপুর প্রতিনিধিঃ-
দলে বিশৃঙ্খলা নেতাকর্মীর মধ্যে বিভক্তি সিটির মতো জাতীয়নির্বাচনেও ভরাডুবির শঙ্কা।দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কমিটি ভেঙে দিয়েলতি বছরের শুরুতে রংপুর জেলা ও মহানগরআওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু এতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি।নেতাদের অন্তর্কোন্দলে মহানগর আওয়ামী লীগেনানা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে মহানগর আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।
মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেমের অভিযোগ, মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন একক সিদ্ধান্তে নগরীর পাঁচটি ওয়ার্ড কমিটি (১৩, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড) ভেঙে দিয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাদের না জানিয়ে অভিযোগ উঠেছে, ওই ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ককে কিছুই জানানো হয়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীর মাঝে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মহানগর নেতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, সিদ্ধান্ত
কমিটি গঠন করে একাই অনুমোদন দিয়েছেন।।। বাহাকারীর পাঁচটি ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দেন ডা.নিয়ম মেনে সবকিছু করা যায় না। মহানগর আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের উপস্থিতিতে ওই ওয়ার্ডে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই কমিটির কোনো কার্যক্রম ছিল না। দলীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর আওয়ামী লীগে অন্তর্কোন্দল নতুন কিছু নয়। রংপুর সিটি করপো-রেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বিপুল ভোটে হারার পাশাপাশি জামানত হারান।
এই অবস্থার নেপথ্যেও ছিল অন্তর্কোন্দল। কারণ দলের নেতাদের মধ্যে ঐক্য না থাকায় আওয়ামী লীগ থেকে ডালিয়াকে প্রার্থী করা হয়েছিল। অথচ মাঠে আলোচনায় ছিলেন মহানগর
আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম, রংপুর মেট্রো-পলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আতাউর জামান বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগের রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ প্রমুখ।
গতশনিবার নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পাশাপাশি আহ্বায়ক কমিটিও করা হয়। জানা যায়, মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ নেন আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। গত মহানগর আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা বলেন, ডা. দেলোয়ারের হঠকারী নানা সিদ্ধান্তে দল আরও ঝিমিয়ে পড়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এমনকি তিনি মহানগরের অন্য নেতাদের মূল্যায়ন করেন না। দলীয় অফিসে হাজিরা খাতা চালু করায় অফিসে আসা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন। সাধারণ নেতাকর্মীর অভিমত, রংপুরে দলীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ফলাফলে রংপুর সিটি করপোরে- শনের মতো বিপর্যয় ঘটতে পারে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, রংপুর সংগঠনে এখন গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে দলীয়নস্বার্থ ঠিক রেখে সবার মতামত নিয়ে সংগঠন পরি চালনার অনুরোধ জানান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক টিমের সদস্য ডালিয়া জানান, ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তা জানানো হবে।
চেয়ারম্যান মো:মেহেদী হাসান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মনজুর আলম সরকার
Design and Development by www.itcaresbd.com