মাটি মামুন রংপুর:-
পুলিশ থানায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ রংপুরের তারাগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ওই অবরোধ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশ ও মটর শ্রমিকের নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়,বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ নতুন চৌপথী এলাকায় সৈয়দপুর থেকে রংপুরগামী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় রফরফ পরিবহন।
এতে অ্যাম্বুলেন্সটির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলন ঘটনাস্থলে যান। তার পরামর্শে দুই গাড়ির চালক গাড়িটি মটর শ্রমিকের কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুই গাড়ির চালককে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বসেন। এদিকে খবর পেয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্তারুল ইসলাম রফরফ পরিবহনটি চাবি ছাড়াই চালু করে কাউকে কিছু না জানিয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় নিয়ে যান। মটর শ্রমিক নেতারা তাদের কার্যালয় থেকে বের হয়ে জানতে পারেন রফরফ পরিবহনটি তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেল ৫টায় মহাসড়ক অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ ও তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা মটর শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে রফরফ পরিবহন ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে অবরোধ তুলে নেন।তারাগঞ্জ মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিলন বলেন, আমরা দুইপক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য অফিসে বসেছিলাম।
এরই মধ্যে এসআই আক্তারুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে রফরফ পরিবহনটি চালিয়ে থানায় নিয়ে যান।এতে মটর শ্রমিককে অসম্মান করা হয়েছে। তাই সংগঠনের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ রফরফ গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস ও না জানিয়ে গাড়িটি নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি জানালে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক মোরশেদ আলম বলেন, আমার গাড়ি ভেঙেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য মটর শ্রমিকের লোকজনকে বলেছি। কোনো পুলিশকে খবর দেইনি। ওই পুলিশ নিজে থেকে এসে গাড়িটি নিয়ে গেছে।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) আক্তারুল ইসলাম বলেন, আমি মুঠোফোনে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। দুর্ঘটনার শিকার গাড়িটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে থানায় নিয়ে আসি। গাড়িটি হাইওয়ে থানায় আছে। এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মাহাবুব মোরশেদ বলেন, এটি তুচ্ছ ঘটনা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে। স্থানীয় মটর শ্রমিকের লোকজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছে। এখন পরিবেশ শান্ত। দুইপক্ষ বসে বিষয়টি মীমাংসা করলে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হবে।