মোঃ জাহিদ হোসেনঃ-দিনাজপুর প্রতিনিধি:-
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় এক নৈশ প্রহরীকে হত্যায় ২৬বছর পর মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামীকে যাবজ্জীবন এবং একজনকে বেখসুর খালাশ দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। ২৯মে সোমবার দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে এ রায় দেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আলালত ২ স্পেশাল ট্রাইবুনাল -৩এর বিচারক শ্যাম সুন্দর রায়। আদালতের রায়ের প্রক্ষিতে পুলিশের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এবং মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার উওর ভোলানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মিল ও চাটালের নৈশ প্রহরী তজিম উদ্দিনকে কারেন্টের হাট নামক এলাকা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাশ্ববর্তী ধামুরা পুকুরের কচুরীপানার ভিতর লাশ লুকিয়ে রাখে।
তজিম উদ্দীনের স্ত্রী আরজীনা পারভীন অনেক খোজাখুজি করতে থাকে।এভাবে অতিবাহিত হবার দুদিন পর স্থানীয় প্রতিবেশীরা এসে জানায় তার স্বামীকে কে বা কাহারা হত্যা করে ধামুরা পুকুরের কচুরিপানার ভিতর ডুকিয়ে রেখেছে।ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত তজিম উদ্দীনের স্ত্রী তার স্বামীর মৃতদেহ পুলিশ পুকুরের কচুরীপানা থেকে উদ্ধার করেছে। দিনাজপুর জেলা চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের তজিম উদ্দিনকে তার স্ত্রী আরজিনা পারভীন .তার স্বামী তমিজউদ্দীনকে দুইদিন থেকে খুঁজে না পাইলে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন۔
হত্যা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পারভীনের স্বামী চিরিরবন্দর উপজেলার শামসুদ্দিনের মিলে রাতের বেলা চাটালে নাইট গার্ডের চাকরি করতেন! চাকরি চলাকালীন কারেন্টের হাটবাজারে বিকাল পাঁচটায় গিয়েছিলেন স্থানীয় লোকজন তার স্ত্রীকে জানান . দুইদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার স্বামীকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন ! স্থানীয় প্রতিবেশীরা আমাকে দুইদিন পর জানান চিরিরবন্দর উপজেলার ধামুরা পুকুরের কচুরিপানার ভিতর আমার স্বামীর মরদেহ কচুরিপানার ভিতরে পড়ে আছে আমি গিয়ে দেখি . পুলিশ আমার স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ! এই ঘটনায় মৃত তজিম উদ্দীনের স্ত্রী চিরির বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি চার্যসিট দাখিল করেন।
মৃত তজিম উদ্দিনের স্ত্রীর থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় পরিপেক্ষিতে ২৬ বছর পর ২৯মে সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২ স্পেশাল ট্রাইবোনাল-৩ এর বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় সাক্ষী প্রমানে সত্যদার ভিত্তিতে ১৯জনের সাক্ষ গ্রহন শেষে তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০হাজার টাকা জরিমানা।অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে এ রায় ঘোষনা করেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামীরা হলো চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিন সুখদেবপুর গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে জমির উদ্দীন, উওর ভোলানাথপুর গ্রামের মৃত জমিরের পুত্র আব্দুল লতিফ এবং একই গ্রমের কাচুয়া শাহার ছেলে শামসুল হক। এবং আব্দুল কাফি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ প্রমানাদি না পাওয়ায় তাকে বেখসুর খালাস করে দেন বিচারিক আদালত। লিশ দীর্ঘদিন তদন্তের পর এবং তদন্ত শেষে পরিকল্পিত হত্যা অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তবে এই মামলায় আদালতে একজন আসামির সাক্ষী প্রমান না পাওয়ায় আব্দুল কাফিকে আদালত খালাস করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান পিপি সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বিজ্ঞ বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে এ রায় দিয়েছেন।আদালতের এ রায়ে খুশি হয়েছেন বাদী ও তার পরিবারবর্গ।