নিজস্ব প্রতিবেদনঃ-
রংপুরের কাউনিয়ায় ফুটবল খেলার মাঠের বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে আশিকুর রহমান আশিক নামের কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার (২০ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ঘটনার দিন শুক্রবার (১৯ মে) রাতে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মৃত খায়রুল ইসলাম কালুর ছেলে আতিকুর রহমান (১৯), সাহাবাজ গ্রামের নুরুল ইসলাম ছেলে আল মামুন (২১), গঙ্গানারায়ণ গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে রেজাউল হাসান রাহি (২১) ও মৃত মফিজ উদ্দিনের বাবু মিয়া (৩০)। রোববার (২১ মে) বিকেলে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় কিছু কিশোর ফুটবল খেলার আয়োজন করে।খেলা চলাকালে আতিকুর ও আশিকুরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। খেলা শেষে আশিকুর বাড়ি ফিরে বিশ্রাম শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার সদর বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় গেলে আতিকুরসহ আরও কয়েকজন কিশোর সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে আশিকুর রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশিকুর রহমান মারা যান।
আশিকুর রহমান ওরফে আশিক উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের হরিশ্বর স্টেশন দলাপাড়া গ্রামের তফেল উদ্দিনের ছেলে। তিনি কাউনিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার বিকেলে তার মা আবেদা খাতুন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ফুটবল খেলায় মাঠের দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষে আশিকুর নামে এক কলেজছাত্র আহত হয়। পরে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে আশিকুরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকাজ সঠিক নিয়মে চলছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।