Sunday , 17 March 2024 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. প্রবাস
  7. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  8. রাজনীতি
  9. সারাদেশ

কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান দবির মোল্লা ছিলেন ধার্মিক, ন্যায়পরায়ন, ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী

প্রতিবেদক
Staff Reporter
March 17, 2024 10:32 pm

 

কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান দবির মোল্লা ছিলেন ধার্মিক, ন্যায়পরায়ন, ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকার

মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি :-

কুষ্টিয়ায় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক, পরোপকারী, গরিবের বন্ধু, দবির উদ্দিন মোল্লা কুষ্টিয়া শহরের দবির উদ্দিন মোল্লা রেলগেট ছেঁউড়িয়া মোল্লা পাড়া এলাকার অধিবাসী ছিলেন। উক্ত এলাকায় তার দুটি বসতভিটা এখনও অবস্থিত সেখানে তার সন্তানরা বর্তমানে বসবাস করে।

দবির মোল্লা ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন বুজর্গ ধার্মিক, ন্যায়পরায়ন, সরল ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী অত্যন্ত জ্ঞান পিপাসু নিবেদিত একজন ব্যক্তিত্ব।

জীবনে তিনি মক্তব মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠা কল্পে গ্রামের জনসাধারণকে উৎসাহিত করেন। সেই যুগেও তিনি নারী শিক্ষায় অগ্রণী ছিলেন। তার সন্তানেরা ও তার নাতিরাও এখন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং চাকুরী ক্ষেত্রে উচ্চতর আসনের অধিষ্ঠিত।

তিনি জন্মেছিলেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া মোল্লাপাড়া গ্রামে এক বনেদী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। এনায়েত মোল্লা ও গলেজান বেগম দম্পতির ঘরে আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে ১৮৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২৪শে এপ্রিল ১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল অনুমানিক ৯০ বছর।

যার নামানুসারে “দবির মোল্লার রেলগেট” নামকরণ হয়েছে। তার প্রচেষ্টায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ছাড়াও গড়ে উঠে দাতব্য চিকিৎসালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। তার জন্ম তারিখ বা সালের কোন উল্লেখযোগ্য সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। দবির মোল্লার ১১টি ছেলে ও ৩টি মেয়ে রয়েছে। এছাড়াও তার নাতি-নাতিরাও রয়েছে প্রায় শতকের কাছাকাছি।

দবির মোল্লার ছেলে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ছেঁউড়িয়া মসজিদুল মোকারম জামে মসজিদের সভাপতি আলতাফ হোসেন মোল্লা বলেন, আমার বাবা দবির মোল্লা ছিলেন একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীক। আবার অনেকেই মনে করেন তিনি গেট ম্যান ছিলেন সেই কারণেই তার নামে নামকরণ হয়েছে “দবির মোল্লার গেট” আসলে কথাটা ঠিক নয়। তিনি একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীক ছিলেন। রেলগেটের পাশে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। এখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশা মানুষগুলো যেমন, সাঁওতা, মিরপুর, পান্টি, বাঁশগ্রাম, মোহন নগর, চাঁদপুর, যদুবয়রা, ভাঁড়রা, শৈলকুপা, গাড়াগঞ্জ, ঝিনাইদা, কুমারখালী, খোকসা, মাছপাড়া, পাংশা, উক্ত এলাকা থেকে সাধারণ জনগণ কুষ্টিয়া শহরে আসতো। সেই সময় যাতায়াতের ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত ছিল না। এমনও নজির আছে কুষ্টিয়া শহরে ঢুকলে ওই দিন রাত থেকে পরের দিনে আবার তাদের বাড়ি যেতে হতো।

তিনি আরো বলেন, আমার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটা খানকা ঘর অর্থাৎ কাচারী ঘর করেছিলেন তিনি। সেই ঘরে শহরে আসা অনেকেই এসে রাত্রি যাপন করে পরদিন সকালে বাড়িতে রওনা দিতেন।

তার আর এক ছেলে ব্যবসায়ীক আবু হাসান মোল্লা বলেন, আমার বাবা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে সব সময় শুকনো কিছু খাবার রাখত যেমন মুড়ি, চিড়া, গুড় ও মাটির কলসের ঠান্ডা পানি এগুলো রেখে দিতেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষগুলো কুষ্টিয়া ঘুরে যারা বাড়িতে যেতেন তারা তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাশেই খানকা ঘরে অর্থাৎ কাছারি ঘরে বসে শরীর ঠাণ্ডা করে শুকনা খাবার গ্রহণ করে তার পর যেতেন এটা ছিল তার সবচেয়ে বড় গুণ মানুষ ধর্ম ছিল তার কাছে বড় ধর্ম।

দবির মোল্লার আর এক ছেলে ডাক্তার শামছুল আলম বলেন, আমার বাবার সেই সময় অত্র এলাকায় কোন টিউবওয়েল ছিলনা। আমার বাবার একটা কুয়া ছিল সেই কুয়ার পানি সবাই খেত। এবং কুয়ার পাশেই নারিকেল গাছ ছিল। সে কখনো ডাব গাছ থেকে নারিকেল বানায় নাই। অর্থাৎ নারিকেল গাছের ডাব সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রেল কোম্পানীর বিভিন্ন কর্মকর্তারাও এসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় দিত এবং তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করত। তিনি মারা যাওয়ার পরে এই রেলগেটের নামকরণ করা হয়েছিল তার’ই নামে “দবির মোল্লার রেলগেট”।

রাজবাড়ী টু কুষ্টিয়া আঞ্চলিক রোডের পাশেই ছেঁউড়িয়া দবির মোল্লা রেলগেট। এই রেলগেট দিয়েই যেতে হয়। কুষ্টিয়া বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারে। কুষ্টিয়া জেলার আপামর জনসাধারণ তাঁকে চিরদিন গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

Loading

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

রংপুর মহানগর আ’লীগে অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে।

বাংলাদেশী আক্তার এখন বিদেশ থেকে ফেক আইডি দিয়ে মেয়েদের ডিস্টার্ব করে।

টঙ্গীতে ট্রেনে হামলা-ছিনতাই : আটক ৯, লুটের মালামাল উদ্ধার।

সাংবাদিক মিলন হত্যার ঘাতক ড্রাইভারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা।

টেপির বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নব গঠিত পরিচালনা  কমিটি গঠন। 

কসাই জবাই করে প্রকাশে দিবালোকে ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার।

গাজীপুরে সালিশ বৈঠকে মারামারি

পান্টিতে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের

দুই সাংবাদিক নেতার মুক্তির দাবিতে ডিইউজে’র বিক্ষোভ সমাবেশ

আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার একজন পরিশুদ্ধ মৌলিক মানুষ- গাজীপুর মহানগর গণফ্রন্ট নেতা টুটুল তালুকদার