আজ সকালে চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট ব্রিজ কর্ণফুলি কালুরঘাটর সেতু
সকাল ১২ জুন ২০২৪ইং
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিকাশ দাশ গুপ্ত
ঐতিহাসিক কালুরঘাট সেতু
ঢাকা --- কক্সবাজার রেল যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ ছিলো এই সেতু। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলে ( ১৯২৮ ) সালে যখন ষোলশহর - দোহাজারী রেলপথ নিমাণের কাজ শুরু হয় তখন তৈরি করা হয়েছিল এই সেতু। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে এই সেতু যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে গেছে। আবার ঢাকা কক্সবাজার রেলযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার জন্য একটি নতুন সেতু নিমাণ না হওয়া পর্যন্ত সেতু টি বধন অপরিহার্য ছিলো।
অবশেষে বুয়েটের প্রকৌশলীদের সহায়তা নিয়ে চলাচলের জন্য উপযোগী করে তোলার জন্য হয় সেতু।
প্রায়র ( ৪৪) কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে সংস্কার করা হচ্ছে কালুরঘাট কর্ণফুলি কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যানবাহন চলাচলের জন্য প্রসওত করতে সময় লাগে দীর্ঘদিন। অবশেষে ব্রিজের উপরে কার্পেটিং করা সম্পূর্ণ হয়েছে। শীঘ্রই যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতু টি দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ থাকায় রেল ট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমেপাত ক্ষতি গ্রস্ত হতো। এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় রেল ট্র্যাক মেরামতের প্রয়োজনে সেতু টি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হতো। তবে এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংঞিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়েছে। এরপর ওই কংঞিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়ক পথ নিমাণ করা হয়। এতে সড়ক ও রেল পথ উভয়ই আগের চেয়ে শক্তি থাকবে। বর্ষা মৌসুম কিংবা কুয়াশাজনিত পানি না জমে কংঞিট ঢালাইয়ের অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ সিস্টেম দিয়ে নদীতে পড়লে রেল ট্র্যাক ক্লিপ ও সেতুর ইস্পাতের পাটাতন ক্ষয় হবে না।
বিশেষ প্রযুক্তি ও বুয়েটের পরামর্শে নতুন করে নিমাণ করায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু টি দীর্ঘ সময় ব্যবহারযোগ্য থাকবে বলে মনে করলো রেলওয়ে। বুয়েট সঞিয়ভাবে পরিদর্শন নকশা এবং বাস্তবায়ন প্রঞিয়ায় জড়িত থেকে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
চেয়ারম্যান মো:মেহেদী হাসান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মনজুর আলম সরকার
Design and Development by www.itcaresbd.com