বেনাপোল প্রতিনিধিঃ-
শার্শার গোগা ইউনিয়ন দারুসসালাম হাফিজিয়া নুরানি ও কওমি মাদ্রাসার দ্বিতল ভবনের পিলার টপকিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পড়ে আহত তাজমীর (১৪) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্র মারা যান। নিহত তাজমীর গোগা দারুসসালাম হাফিজিয়া নুরানির ও কওমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এর আগে সে গত ৮ মে রাত দুইটার দিকে মাদ্রাসার দ্বিতল ভবনে অবস্থিত পিলার টপকাতে গিয়ে পড়ে ওই ছাত্র গুরুতর আহত হন। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৮ মে রাত দুইটার দিকে মাদ্রাসার দ্বিতল ভবনে অবস্থিত পিলার টপকায়ে তিনতলায় উঠবে সেই চেষ্ঠা করতে গিয়ে তাজমির নিচে পড়ে যায়। এতে সে মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হয়।
প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অবস্থার খারাপ দেখে রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এর পর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক।সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।সোমবার হঠাৎ তাজমীর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে গোগা ইউনিয়ন দারুসসালাম হাফিজিয়া নুরানি কওমি মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহত শিক্ষার্থী বন্ধুদের নিয়ে রাতে মাদ্রাসা দ্বিতল ভবনের পাশে অবস্থিত পিলার টপকাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলো।এর পর তাকে যশোর সদর হাসপাতালে তার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হয়। সর্বশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
মাদ্রাসার শিক্ষক( বড় হুজুর) আব্দুল মুজিদ জানান,নিহত তাজমীর মাদ্রাসার তিনতলায় থাকে।ঘটনার দিন রাতে অনেক ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিলো।এসময় তাজমীর ও তার দুই বন্ধু ভুলবসত দ্বিতল ভবনে ঘুমায়ে পড়েছিলো। রাত দুইটার দিকে তারা তিনতলায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়।যেহেতু গেটে সব তালা মারা।এজন্য তারা দ্বিতল ভবনে পাশে অবস্থিত পিলার টপকিয়ে তিনতলা ভবনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো।এসময় তাজমীর অসাবধনতা বসত পড়ে গিয়ে মারাত্নক আহত হয়। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মুনিরুজ্জামান জনান,এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি।লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।