আশিক হাসান সীমান্ত রাজবাড়ী:-
" বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক, এলোরে পহেলা বৈশাখ " বাঙালি জাতির ঐতিহ্য বহন করে প্রতিবছর ফিরে আসে বাংলা নব বর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। এই দিনটিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। দীর্ঘ ২০০ বছরের এই ঐতিহ্যকে সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দিতে অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর।
বিগত ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈশাখী মেলা। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হরেক রকমের পন্য নিয়ে এই মেলায় এসেছে ব্যবসায়ী দোকানপাঠ, নাগরদোলাসহ বেশ কিছু বিনোদনমূলক খেলাধুলার জিনিসপত্র। এই মেলায় আগমন ঘটেছে দেশের এলাকার বিনোদনমুখী মানুষের ঢল ।
নবাবপুরের (বেরুলিয়া) ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। মেলা কে ঘিরে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসব প্রেমী মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে হাজার হাজার মানষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। মেলার মাঠে আসা বিভিন্ন দোকানে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। শিশু কিশোর সহ নানা বয়সের মানুষ দোকান থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে শুরু করে। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে মেলায় ভীড় বাড়তে থাকে।
কথা হয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের সঙ্গে। তিনি বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ দুইশ বছরের পুরানো বৈশাখী মেলা মানুষের প্রাণের দাবিকে আরো সুন্দর করে সাজাতে ইউনিয়ন পরিষদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, বেরুলিয়া বাজার পরিচালনা কমিটি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে সুন্দর করে সাজাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধরে রাখার চেষ্টা করছি বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতি। আমাদের মধ্য থেকে বিনোদনমুখী অনেক অনুষ্ঠানে আজ বিলুপ্তির পথে। মানুষের মনের খোরাক আনন্দ উৎসব দিয়ে তাদের মাতিয়ে রাখতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মেলায় অনেক ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনদিনের এই মেলায় দ্বিতীয় দিনে থাকছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লাঠিয়ালদের কলাকৌশল দিয়ে মানুষের মাঝে আনন্দ দেবেন বলে আশা করছি। বিজয়ী লাঠিয়াল গ্রুপের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, গ্রাম বাংলার হারানো দিনের স্মৃতি চোখে ফিরিয়ে আনতে যা কিছু করার প্রয়োজন আমি আমার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সব কিছুই করব। আজ আমরা পুরনো দিনের ঐতিহ্যকে ভুলে যেতে বসেছি। গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্যগুলোকে জানতে আমি নিরলস কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ।
চেয়ারম্যান মো:মেহেদী হাসান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মনজুর আলম সরকার
Design and Development by www.itcaresbd.com