নীলফামারীতে ভুয়া ডাক্তার আটক এক বছর জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
মাটি মামুন রংপুর।
নীলফামারী শহরে মদিনা ক্লিনিক থেকে ফারুক হোসেন নামে এক ভুয়া নিউরোসার্জনকে আটক করে এক বছর জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিক সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের ডা. মো. রবিউল ইসলামের নাম ও পদবি ব্যবহার করে মদিনা ক্লিনিকে বসে রোগী দেখতেন রংপুর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র নার্স ফারুক হোসেন। গত এক মাস ধরে তিনি রোগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি রবিউল ইসলাম জানতে পেরে নীলফামারী সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ জানায়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ভূয়া নিউরোসার্জন ফারুক হোসেনকে আটক করেন। তিনি ডাক্তারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের করাদণ্ড দেয়া হয় এবং ক্লিনিকটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে এক মাসের জন্য সিলগালা করেছে ভ্রম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, মদিনা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ফারুক হোসেন নামে এক ভূয়া নিউরোসার্জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি ডাক্তার হওয়ার বৈধ কো্নো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং অন্য ডাক্তারের নাম ও পদবি ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে আসছেন।
এমন অভিযোগের পেক্ষিতে ভূয়া ডাক্তারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে। মদিনা ক্লিনিকের কর্ত্পক্ষ ওই ডাক্তারের বৈধ কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে ক্লিনিকে বসার অপরাধে ক্লিনিটি সিলগালা করা হয়েছে।
উল্লেখ এর আগেও রংপুরের ধাপ এলাকায় একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখার সময় সাংবাদিক দের হাতে ধরা খেয়ে চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয়রা।
চেয়ারম্যান মো:মেহেদী হাসান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মনজুর আলম সরকার
Design and Development by www.itcaresbd.com