শিরোনামহীন একটি কলাম, অথই নূরুল আমিন।
বিকাশ দাশগুপ্ত বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সারাদেশ জুড়ে নির্বাচনী গরম হাওয়া লেগেছে। দেশের উৎসাহী জনগণ, দেশপ্রেমিক জনতা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। যে কোনো মূল্যে অথবা ত্যাগ স্বীকার করে হলেও। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের সংকল্প নিয়ে দেশজুড়ে সব জায়গায় আলোচনা চলছে। উল্লাস চলছে দিবারাত।
তবে আমার আজকের এই কলাম হলো শিরোনামহীন। তারও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আজকে সকাল দশ ঘটিকা থেকে প্রায় দেড় ঘটিকা পযর্ন্ত আমরা তিন হাজারের বেশি প্রার্থী উপস্থিত ছিলাম গণ ভবনে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রায় এক ঘন্টা সময় নিয়ে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে মহা মূল্যবান দিক নির্দেশনা মূলক দির্ঘ বক্তব্য রেখেছেন।
আমি সকল কথা এখানে লিখছি না। শুধু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আজকের কলামটি লিখছি। তাহলো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। আমি যে আসনে যাকে প্রার্থী করে দিয়েছি। আপনারা সবাই তার পক্ষে কাজ করবেন। আমরা উপস্থিত সবাই কিন্তু হ্যা সম্মতি দিয়েছি। তারপরেও মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক প্রার্থী কিন্তু অখুশি হয়ে অনেকেই জেদে অথবা রাগের বসবতি হয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন পথ বেচে নেয়। এটাও কিন্তু ঠিক নয়।
যাক সে কথা। তবে এখানে কিন্তু আরেকটি ভিন্ন বিষয় লুকিয়ে আছে। সেটা কি? সেটা হলো ত্যাগী নেতাকর্মী নির্যাতন। অবহেলা এবং কটাক্ষ করা।
এখানে আমার কথা হলো আমি 1996 থেকে আজ পযর্ন্ত যা দেখে আসছি। তা হলো দেশের সকল নেতাকর্মীরা সারাজীবন দলীয় সভাপতির কথা মেনে নিয়ে আপ্রান চেষ্টা করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে আসছে । এখানে নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকের যেমন থাকে শ্রম। তেমনি অনেকের থাকে মেধা। অনেকের অর্থও ব্যয় হয়।
তবে কথা থাকে যে , অনেক এমপিই কিন্তু নির্বাচনের পর এই সমঝোতার কথাটি মনে রাখেননি । এমপি পদে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অনেক এমপি এলাকার অনেক নেতাকর্মীদেরকে বিভাজন করে দেন।
তখন অনেকের ভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক নেতাকর্মীদের মুখের উপর বলে দেয়া হয় । তুমি তো অমুকের কর্মী ছিলা। তুমি তো অমুকের পক্ষে সমর্থক ছিলা। আজকে আমার কাছে কেন এসেছো? তখন সেই প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মী অনেকেই অভিমান করে দূরে সরে যায়। এই ধরনের মন ভাঙ্গা কথা আমরা অনেক এমপির মুখে বিগত সময়ে শুনে আসছি।
আসলে এই বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক বলে আমার কাছে মনে হয়। আমি আশা করব। আগামীতে যারা নৌকার মাঝি হবেন। তাদের কাছে যেন সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের সমান মূল্যায়ন থাকে। কোনো এমপি যেন কোনো মীরজাফর সাথে না রাখেন। কোনো কান কথা যেন না শুনেন। সকল নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সুবিধা অসুবিধায় সাধ্য মত যেন পাশে থাকবেন। এমপি লীগ, ভাই লীগ, আত্মীয় লীগ এমন লীগ করে করে এলাকা চালাবেন না। মনে রাখবেন আপনজন পর হলে ক্ষতি বেশি হয়। পরজন পরেই তাকে ভালোবাসলে মহা ক্ষতির নেই ভয়।
মনে রাখবেন, সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তেমনি একজন মানুষের সবসময় একরকম সময় অতিবাহিত হয়না । আরো মনে রাখবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একেকজন নেতা বা কর্মী যেন একেকটা হীরের টুকরো। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে একটানা পনেরো বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে । এই কথা অস্বীকার করার সাধ্য কারো নেই।
তবে আমার কষ্ট লাগে তখনই। যখন শুনতে পাই অমুক এমপি তমুক এমপি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করছেন না। দেশের সকল এমপি প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে আরেকটি কথা বলে আজকের লেখাটি শেষ করছি। আর সেটা হলো। একজন ত্যাগী নেতা অথবা কর্মীকে একজন এমপি অবহেলা করলে তারা হয়তো কষ্ট পায়। অথবা সামান্য তম সুযোগ সুবিধা থেকে হয়তো বঞ্চিত হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, কর্মী অত্যাচারী একজন এমপি যখন বিপদগামী হয়। তখন তার হয়তো যায় ক্ষমতা নয়তো যায় ইজ্জত।
উনি আরো বলেন সেটা হলো এক জন ত্যাগী নেতা অথবা কমীকে এক জন এমপি অবহেলা করলে তারা হয়তো কষ্ট পায় সামান্য তম সুযোগ সুবিধা থেকে হয়তো বন্বিত হয কিন্তু মনে রাখবেন কমী অত্যাচারী এক জন এমপি যখন বিপদহামী হয তখন তার হয়তো যায় ক্ষমতা নযতো যায় ইজ্জত
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
26/11/2023