মধুপুরে বয়স্ক ভাতার কথা বলে বৃদ্ধা মায়ের জমি লিখে নিয়েছে তার মেয়ে
মোঃ দেলোয়ার হোসেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রাইম রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন কুড়ালিয়া গ্রামের ৭৬ বছরের বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তার জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃদ্ধা আয়েশা কুড়ালিয়া গ্রামের ফজর আলীর স্ত্রী।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা জানান, বাবার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ১১শতাংশ জমিতে আমি দীর্ঘদিন যাবত বাড়িঘর করে বসবাস করছি।
আমার মেয়ে সেলিনা ও তার স্বামী আলম সুকৌশলে আমাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে রাতে এক বাড়িতে নিয়ে টিপসই নেয়।
এখন বলছে আমি নাকি আমার মেয়ে সেলিনার নামে জমি লিখে দিয়েছি।
বৃদ্ধা আয়েশা আরও জানান, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই, আমি বাড়ি ছেড়ে কয়েক বছরে কোথাও যায়নি, তাহলে আমি কোথায় গিয়ে জমি লিখে দিলাম।
এ ঘটনা আমার ভাই বোনদের জানানোর পর, মেয়ে এবং তার স্বামী আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি আমার বাড়িতে ঢুকলে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
আমার ঘরে অনুদানের দুই বান্ডিল টিন রয়েছে সে গুলো বের করতে দিচ্ছে না।
বৃদ্ধা আয়েশা এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি অত্র এলাকার চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান চেয়ারম্যান দিতে পারেনি।
সহায়সম্বলহীন বৃদ্ধা এখন জমি এবং বাড়ি ফিরে পেতে মানুষের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বৃদ্ধা আয়েশা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে এবং সাহায্য তুলে তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছেন। এখন তার মেয়ে সেলিনা সে জমির মালিক দাবি করছেন। বিষয়টি সবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া আয়েশা বেগমের স্বামী জীবিত থাকা সত্বেও দলিলে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। তার ৪ভাই ৫বোন জীবিত থাকতে দলিলে সাক্ষি দেওয়া হয়েছে অপরিচিত দুইজনকে।
বর্তমানে বৃদ্ধা আয়েশা খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি তার জমি ও বাড়ি ফিরে পেতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।