জাতীয় সংসদ নির্বাচন বনাম ভোটারদের আগ্রহ।
অথই নূরুল আমিনবি
বিশেষ প্রতিনিধ বিকাশ দাশগুপ্তঃ
হাটি হাটি পা পা করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এগিয়ে যাচ্ছে গোটা জাতি। আমাদের আরো সামনে যেতে হবে। এটাই আমাদের স্বপ্ন। যেকোনো ভাবে বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি হিসেবে একটা গ্রহণযোগ্য স্থান আমাদের কে করতেই হবে।
আগামী সাত জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার হবে নবীনেরা। নবীনেরা ভোট দিবে মহা আনন্দে। এর পর যেসকল ভোটারে ভোট কেন্দ্রে যান তাদের মধ্যে একটা শ্রেনি মধ্যবিত্ত আরেকটি শ্রেণি হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত। এদের মধ্যে মহিলা ভোটার গণের উপস্থিতি সবসময় বেশি দেখা যায়।
সারাদেশ জুড়ে আগামীকাল থেকে ভোটারদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করবে। অনেকেই কাল থেকেই দিন গননা শুরু করবেন। বিশ্বের প্রতিটা দেশেই নির্বাচন কালীন সময়ে বিশেষ করে ভোটারদের কদর অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর বিষয়টা ভোটারদের জন্য একটি সুখবর বলা চলে।
তবে কথা থাকে যে, সম্মানিত সকল ভোটারদের কদর সারা বছর জুড়েই থাকা আবশ্যক। কারণ আমাদের দেশে স্থানীয় জন প্রতিনিধি যেমন ইউনিয়ন মেম্বার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান পৌরসভা – সিটি মেয়র এবং জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য সহ এই ধরনের জন প্রতিনিধি গণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। তাই সবসময় নিজ নিজ এলাকায় কখনও ভোটারদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ঠিক নয়।
লক্ষ্য করে দেখবেন ভোটের দিন মধ্যবিত্ত পরিবার ও নিম্ন মধ্যবিত্ত এমনকি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের সংখ্যাই ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে বেশি দেখা যায়। আর একজন জন প্রতিনিধির সাথে ভোটের পরের দিন থেকেই কিছু ধনী লোকের সঙ্গ দেখা যায়। ঠিকাদার কন্টাক্টর এছাড়া সমাজের কিছু বাছাল অথবা বাটপার ধরনের কিছু লোক দেখা যায়।
কোনো কোনো এলাকায় এমনও দরিদ্র ভোটার আছেন। তিনি দল অথবা ব্যক্তিকে ভালোবেসে দুবার তিনবার ভোট দেয়ার পরেও তার পছন্দের নেতার সাথে আর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সুযোগ টুকু হয়নি। এখানে কিছু চাওয়া পাওয়া তো দূরের কথা। আমি নিজ চোখে দেখেছি অনেক জন প্রতিনিধির বাসা অথবা অফিসের যে গার্ড অথবা দারোয়ান থাকে। সেই গার্ড অথবা দারোয়ান আগুন্তক ব্যক্তির দামি পোষাক দেখে দামি গাড়ি দেখে স্যার স্যার বলে অভ্যর্থনা জানিয়ে গেট খুলে দিচ্ছে।
এই দামি লোকটা হয়তো গার্ড বা দারোয়ানকে পাঁচশ অথবা হাজার টাকার একটি নোট উপহার দিয়েছে। এই আগুন্তক কিন্তু অথিতি পাখির মতো কোনো মতলবেই এখানে এসেছে।
অথচ এর আগে থেকেই লাইনে দাড়িয়ে আছে সেইসকল কয়েকজন গরিব মানুষ। তারা হয়তো কেউ পাঁচশ টাকা চাইতে এসেছেন। হয়তো বা অন্য দুইজন তাদের কিছু অসুবিধার কথা বলতে এসেছেন। কেউ হয়তো একটি ঘটনার সঠিক বিচার চাইতে এসেছেন।
না তারা কেউ আর ভিতরে যেতে পারছেন না। দারোয়ান অথবা গার্ড তারা বারবার বলছে এখন স্যার ব্যস্ত আছেন। এখন দেখা করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই দারোয়ান কিন্তু একবারও ভাবেনি আজকের স্যার কিন্তু তাদের ভোটেই পাশ করেছেন। তাই আজকে তিনি জন প্রতিনিধি।
পরিশেষে বলতে চাই দেশের সকল ভোটারদের কে সম্মান করুন। ভালোবাসা দিন। আপনি ভালোবাসা দিলে তারাও আপনাকে ভালোবাসবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
15/11/2023