রংপুরে দিগন্তজোড়া শিমের খেত, ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
মাটি মামুন রংপুর।
ছবিটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রাণীপুকুর এলাকার
দিগন্তজোড়া শিমের খেত, ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
আর কয়েক দিনের মধ্যে শীতকালীন সবজি শিম তোলা শুরু হবে।
বেগুনি রঙের ফুলে ভরে উঠছে শিমখেত চাষিরা স্বপ্ন বুনছেন। ইতিমধ্যে খেত থেকে আগাম শিম উঠতে শুরু হয়েছে। দামও বেশ পাচ্ছেন। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
রংপুরে আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। প্রতিবছরই জেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে আসছে শিম। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠজুড়ে শিমখেত।
আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনাও দেখছেন এখানকার কৃষকেরা।
এ জেলার শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা।
সম্প্রতি রানীপুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শীত শুরু হতে না হতেই ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শিমখেত। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে বেগুনি গালিচা।
কৃষকেরা বাজারে যত আগে এই শিম আনতে পারবেন, তত ভালো দাম পাবেন। তাই মৌসুম শুরুর আগে অনেকটা প্রতিযোগিতার মতো শিমের আবাদ করেছেন তাঁরা।
মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের খানপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম এ বছর নিজের এক একর জমিতে শিম চাষাবাদ করেছেন।
কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কিছু আগাম শিম খেত থেকে তুলে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নিজের এক একর জমিতে গত বছরও শিম আবাদ করে দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। এবার তিন লাখ টাকারও বেশি শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
কয়েকজন চাষি বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে এবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই শিম নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও নেমে আসে। বর্তমানে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরো খেতের শিম উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। তারপরও লাভ ভালো মিলবে বলে চাষিদের মনে আনন্দ।
এদিকে রংপুর শহরের সিটি বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগে কেজিপ্রতি শিম ১৬০ টাকা ছিল।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকা হলো উঁচু জমি।
এসব জমি শীতকালীন সবজি চাষের জন্য উপযোগী। শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে চাষিরা মার্চ-এপ্রিলে জমিতে বীজ বুনেছেন।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।