গার্মেন্স শ্রমিক ভাই বোনদের প্রতি আহ্বান গাজীপুর মহানগর গণ-ফ্রন্ট নেতা টুটুল তালুকদার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে প্রথমই আপনাদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিগত দিনের মজুরি বিবেচনা করে ২০১০ সালে আপনাদের ৭ নং গ্রেডের নূন্যতম মজুরি ১৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা করেন। সাধারণত ৫ বৎসর পর মজুরি বৃদ্ধি – হয়ে থাকে কিন্তু বর্তমান সরকার আপনাদের জীবন মান উন্নয়নের সার্থে ২০১৩ সালে মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে ৭নং গ্রেডে সর্বনিম্ন মজুরি ৫৩০০ টাকা করে ছিলেন।পরবর্তীতে ২০১৮ সালে পুনরায় মজুরি বোর্ড গঠন করে শেখ হাসিনা সরকার শ্রমজিবী মানুষের উন্নয়নে লক্ষ্যে ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে ৮ হাজার টাকা করেন এবং বছরের ৫ % ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি করেন। শ্রমিকদের চিকিৎসা, তাদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফান্ড গঠন করেন, যা থেকে শ্রমজীবী ভাই বোনেরা আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। আবারও সরকার মজুরি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুজরী বোর্ড গঠন করেছেন এবং বোর্ডের কার্যক্রম চলছে।বর্তমান বাজারদর মাথায় রেখে মজুরি বৃদ্ধির চিন্তা করছেন। আজ বিজিএমইর সভাপতি জনাব ফারুক সাহেব বলেছেন, নতুন নির্ধারিত মজুরি ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে এবং জানুয়ারি মাসে শ্রমিকভাই বোনেরা বর্দ্ধিত মজুরি পাবেন ইনশাআল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, যিনি সব সময়ই শ্রমজিবী আসহায় মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু RMG Sector নয়, নির্মাণ,চাতাল,করাত কল,গ্লাস কারখানা সহ ৪৩ টি সেক্টরের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। ১ কোটি পরিবারকে সুলভ মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী দিচ্ছেন।লক্ষ লক্ষ গৃহহীন পরিবার কে ২ শতাংশ জমি সহ উন্নত মানের ঘর দিচ্ছেন বাকী গৃহহীনদের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘর করে দিবেন। সকল শিশুদের বিনা মূল্যে বই দিচ্ছেন , সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৫ ধরনের ঔষধ দিচ্ছেন,বয়স্ক ভাতা,বিধবা,প্রতিবন্ধি, হিঝরা,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমাদের চলাচলের সুবিধা জন্য রাস্তা ঘাট, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল,নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, কর্নফুলি টানেল সহ মেঘা প্রকল্প করেছেন। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বিগ্রহের কারনে আর কিছু মুনাফাখোরদের জন্য বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়া আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করি বাজারদর শীগ্রই নিয়ন্ত্রণে আসবে ইনশাআল্লাহ।সংগ্রামী ভাই ও বোনেরা আমি আশা করি, আপনাদের দাবি মজুরি বৃদ্ধির। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সবসময়ই আপনাদের পক্ষে আছে। নিশ্চয়ই আপনাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে মজুরি বৃদ্ধি পাবে। আমি আশা করি, সাধারণ মানুষের গাড়ী ভাঙা, আগুন দেওয়া, কারখানা ভাঙ্গচুর করা আমাদের কোন শ্রমিক এ ধরনের কার্যক্রম করতে পারে বলে বিশ্বাস করি না। আশা করি আমরা কোন অশুভ শক্তির প্ররোচনায় রাস্তায় নামব না। মালিকদের বলব আপনারা কারখানা বন্ধ করবেন না। এই দুর্মূলের বাজারে শ্রমিকদের চাকরীচ্যুত করবেন না। শেখ হাসিনা সরকার শ্রমিক. বান্ধব সরকার। আমরা অতীতে শ্রমিকের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতে ও থাকবো ইনশাল্লাহ। মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দিক।