ভেড়ামারায় প্রবাসী মামা কর্তৃক ভাগ্নের বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচার।
মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রতিবাদে ভাগ্নে মিঠুন আলীর সংবাদ সম্মেলন।।কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ঘাটপাড়া নিবাসী মোঃ মিঠুন আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ মামা কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর অপপ্রচার মূলক পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ধারাবাহিকভাবে ভাগ্নে মিঠুন আলীর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের ফলে সামাজিকভাবে মিঠুন আলীর সম্মানহানি ঘটেছে। রাফিক হোসেন ও আব্দুর রহিম তারা পরস্পর যোগ সাজসে তাদের নিজ নিজ আইডি থেকে “এই ব্যক্তি হলো একজন মাদক ব্যবসায়ী, সাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে উনি হলো একজন চোর। উনি একজন সৌদি আরব প্রবাসী। দেশে চলে গেছে মদ খাওয়ার টাকা নেই বলে চুরি করে বেড়ায়। মানুষের টাকা ছিনিয়ে নেয়…………. মানুষ ঠকিয়ে চাঁদাবাজি করে মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। সে নেশাখোর মাদক কারবারি।
“এরূপ কথাবার্তা লিখে মিঠুন আলীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে। ভাগ্নে মিঠুন আলীর দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তিনি খুলনা সাইবার ট্রাইবুনালে রাফিক হোসেন ও আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়।
আজ সোমবার মিঠুন আলী তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
মিঠুন আলী জানান, তার বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোনরূপ অভিযোগ নেই। তিনি এসব ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ঘটনার সাথে জড়িত বানিয়ে তার বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে মানহানি ঘটানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য মূলকভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এমন আশ্রাব্য শব্দ লিখে চরমভাবে তাকে হেয় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি আবারও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন দোষীদের প্রতি।
প্রবাসে থেকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষজনের সাথে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে বিদেশ প্রেরণের নামে বিভিন্ন লোকজনের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে যথাযথভাবে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেনি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে এরূপ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মিঠুন আলীকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি ঘটানোর সাথে জড়িতদের বিচার চেয়েছেন মিঠুন আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা।