ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের যত অনিয়ম
মায়ের চাকরি করছে মেয়ে
মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি কুষ্টিয়া :-
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় অবস্থিত ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের যত অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মা’র চাকরি মেয়ে করে মা’র স্বাক্ষর মেয়ে করে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের এমপিও ভুক্ত কর্মচারী তহমিনা খাতুন অফিস সহায়ক পদে চাকরি করে আসছেন। ২০১৯ সালে’র প্রথমদিকে তহমিনা খাতুন বুকের ব্যথায় অসুস্থ হলে ডাক্তারি পরামর্শে বিশ্রামে থাকতে বলেন। তিনি কলেজ থেকে তিন মাসের ছুটি ভোগ করেছেন। এই সুযোগে তহমিনা খাতুন কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়
(তহমিনা খাতুন) এর পরিবর্তে মেয়ে বিউটি খাতুনকে কাজ করার সুযোগ করে দেন। ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের সহযোগিতায় অবৈধভাবে কলেজের হাজিরা খাতায় মায়ের পক্ষে মেয়ে স্বাক্ষর করে আসছেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবার প্রতিমাসে তহমিনা খাতুন চাকরি না করে ব্যাংক থেকে প্রতিমাসে সরকারি অংশের বেতন ভাতার টাকা কলেজের অধ্যক্ষের সহযোগিতায় তুলে নিচ্ছেন। এ যেন মগের মুল্লুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে মা তহমিনা খাতুন এর সঙ্গে মেয়ে বিউটি খাতুনের বাড়িতে ঝগড়া হলে কলেজে এসে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এম এ রফিক কে মা তহমিনা খাতুন বলেন, কাল থেকে আর আমার মেয়েকে চাকরি করতে দেব না। এখন থেকে আমার পরিবর্তে আমার বেটার বউ চাকরি করবে। মনে হচ্ছে বাপের হাতের মোয়া। এবং কলেজের অধ্যক্ষ মৌখিকভাবে কাজ করার অনুমতি দেয়। প্রশ্ন এখন এই কলেজ কি কারণ ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নাকি যে সরকারের কোন নিয়ম নীতি কলেজ কর্তৃপক্ষ মানতে নারাজ।
এই ব্যাপারে ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এম এ রফিক এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে জানান, মা’র চাকরি মেয়ে করে। তাহলে এটা কোন নিয়মে মা’র চাকরি মেয়ে করে তখন সাংবাদিককে বলেন, কাল থেকে আপনি কলেজে চাকুরী করেন এবং টিচারদের চা, পানি খাওয়ানোর দায়িত্ব নেন।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, মা’র চাকরি মেয়ে কোন সময় করতে পারেনা কারন মা তহমিনা খতুন সে কলেজের এমপিও ভুক্ত কর্মচারী। সরকারি নীতিমালার বাইরে আমরা কেউ নয়। আমি শুনেছি প্রায় পাঁচ বছর মার পরিবর্তে মেয়ে চাকুরী করছে। এবং মেয়ে মা’র স্বাক্ষর জাল করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। আমি বিষয়টি অবশ্যই দেখবো। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা তথ্য চাইতেই পারে তাই বলে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তিনি কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে না বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।
এই ব্যাপারে ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা’র সঙ্গে কথা বললে তিনি সাংবাদিককে জানান, আমরা মানবিক দিক দিয়ে মা’র জায়গায় মেয়েকে কাজ করতে সুযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু সেটা সাময়িক, প্রায় পাঁচ বছর মা’র কর্মস্থলে মেয়ে কাজ করতে পারে না। আর সাংবাদিকরা তথ্য নেওয়ার অধিকার আছে তাই বলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা উচিত না বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।