মাটি মামুন রংপুর প্রতিনিধি:-
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্র হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ ইউনুস আলী কে লিখিত চিঠি দিয়েছেন তৌহিদ হাসান নামে একজন শিক্ষার্থী।
উত্তরবঙ্গের প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসা সেবার
নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন
সেখানে এনালগ থেকেই গেছে অত্র হাসপাতাল টি।
এরি ধারাবাহিকতায় গত ০৬-০৭-২০২৩তারিখ
পরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছেন তৌহিদ হাসান নামে একজন সচেতন নাগরিক ও শিক্ষার্থী।
চিঠি অভিযোগ তুলে লিখেন।
বরাবর
অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ
অভিযোগের তারিখ: ০৬-০৭-২০২৩
ট্র্যাকিং নম্বর: ১৮৪৫২৭৭৮০৮০০০১
অবস্থা: নতুন
বিষয়:মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহের বেহাল দশা
মহোদয়,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
দালালদের অভয়াশ্রম। এখানে রোগী আসলে দালাল আর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা দ্বারা রোগী এবং রোগীর স্বজন যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হয় তার চেয়ে বরং বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ায় ভালো। রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে ট্রলির প্রয়োজন হয়।আর এক্ষেত্রে ট্রলি ওয়ালার চাহিদা পূরণ করতে হয় তার দাবি তার সরকারি কোনো বেতন নাই।এরপর ওয়ার্ডে এসে বেডিং এর জন্য আয়া/ওয়ার্ডবয় এর চাহিদা মেটাতে হয়। মাঝেমধ্যে লিফটম্যানকেও টাকা দিতে হয়।ড্রেসিং রুম,অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীর ঔষধ,সুতা,ডেসিং সামগ্রী হারিয়ে যায় হাসপাতালে কোনো শিশুর জন্ম হলে আয়া ওয়ার্ডবয় সেই শিশুকে জিম্মি করে তার অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।
হাসপাতালে কেউ মারা গেলে তার পরিনতি করুণ। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আর তাদের দালালরা ওঁৎ পেতে থাকে কখন কোন ওয়ার্ডে কেউ মারা যায় সেই আশায়।
লাশ নেয়ার জন্য,বাড়ি পৌছানোর জন্য দাবি করা হয় অনেক টাকা। সিন্ডিকেট দের দাপটে বাহির থেকে কোনো গাড়ি রোগী কিংবা ডেডবডি নেয়ার জন্য মেডিকেলে
আসতে পারেনা। ফলে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ওদের মাধ্যমেই লাশ নিয়ে যেতে হয়। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসা সেবার কেন্দ্র এই মেডিকেলে নেই সিটিস্ক্যান ব্যবস্থা। সিটি স্ক্যান মেশিন থাকলেও তা সিন্ডিকেটদের রোশানলে পড়ে বন্ধ হয়ে আছে।
নেই কোনো রেডিওথেরাপির ব্যবস্থা। নেই কোনো
ক্যাজুয়ালটি বিভাগ। যে রোগীর ভর্তি থাকার দরকার নেই সেও একটি বিছানা দখল করে আছে।রোগীর সংখ্যা
এত বেশি যে ওয়ার্ডের বাহিরে বারান্দাতেও পা
রাখার যায়গা নাই। এখানকার আয়া ওয়ার্ডবয় দের টাকা ছাড়াও কোনো হেল্প পাওয়া যায়না। তাদের দাবি তাদের সরকারি কোনো বেতন নাই। এত বড় একটা হাসপাতাল,এখানে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নাকি বেতন নাই। এটা আসলে শুধু রংপুর মেডিকেলর চিত্র না।
এদেশের বেশিরভাগ মেডিকেলেই একই অবস্থা।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহের এই দূরবস্থা
থেকে আশু প্রতিকার চাই। আপনার বিশ্বস্ত
Touhid Hasan মোবাইল (০১৮৪৫২৭৭৮০৮)
সংযুক্তিসমূহ
কোন ফাইল সংযুক্তি নেই সেবার বিবরণ
সংশ্লিষ্ট সেবার নাম: অন্যান্য
সেবার আবেদনের তারিখ: ০৬-০৭-২০২৩
ট্র্যাকিং নম্বর: ১৮৪৫২৭৭৮০৮০০০১
অভিযোগকারীর তথ্য
পূর্ণ নাম: Touhid Hasanমোবাইল নম্বর: ০১৮৪৫২৭৭৮০৮
স্থায়ী ঠিকানা: রংপুর পেশা: ছাত্র
জন্ম-তারিখ: ২১-১০-১৯৯৭
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ৬৪৫১৬৫০৫৩২
ই-মেইল: touhidrpmchint@gmail.com 09:09।এবিষয়ে অত্র হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ ইউনুস আলী সাথে কথা বললে তিনি বলেন। আমি অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাইনি তবে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়াল ভাবে চিঠি আসলে বিষয়টি দেখবো।