কুষ্টিয়া কুমারখালীর মীর মোশারফ হোসেন সংযোগ সেতুতে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে টোল আদায়কারিরা সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকদের সাথে লাঞ্ছনা ও দুর্ব্যবহাররের ঘটনা নতুন কিছু নয়।
টোলের টাকা দিলেও আদায়কারীরা পথযাত্রীদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলে বলে অভিযোগ রয়েছে।১২/০৮/২৩ই তারিখ শনিবার সন্ধ্যার সময় মীর মোশারফ হোসেন সেতুর টোলের টাকা দিয়ে ব্রিজ পার হওয়ার সময় দেশ তথ্য পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শামীম হাসান খানকে টোল আদায়কারীরা গালাগালি, লাঞ্ছিতসহ প্রান নাশের হুমকি দেয়।পরদিন রবিবার এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদিক শামীম হাসান খান।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে গত ০৩/০৮/২৩ ইং তারিখে মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর টোল আদায় নিয়ে দৈনিক সোনালী সময় অনলাইনে একটি নিউজ প্রচার হয়, এই নিউজের জের ধরে ১২ ই আগস্ট সন্ধ্যার পর ব্রিজ পার হবার সময় পারভেজ আনোয়ার তনুর নির্দেশে ৪-৫ জন নিউজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শামিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, শামিম তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা শামীমকে মারিবার উপক্রম হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন রকম হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে, এর আগে বহু সাংবাদিক রাতের আঁধারে হারিয়ে গেছে তুইও হারিয়ে যাবি। ঘটনার সময়ের ঘটনার কিছু ভিডিও ক্লিপ শামিম এর মোবাইলে ধারন করা আছে, ভিডিও ধারন করার সময় টোল আদায় কারিরা শামিমের মোবাইল কেড়ে নিতে গেলে শামিম ভিডিও অফ করে দেয়।স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম করে টোল আদায়কারীরা টোল আদাই করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টোলের টাকা পরিশোধ করলেও তারা স্লিপ দেয় না, টোল প্রদানকারীরা স্লিপ চাইলেই দুর্ব্যবহার শুরু করে, এমনকি মারতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না। ইতিপূর্বে বহু এমন ঘটনার নজির আমরা দেখেছি। আমরা এলাকাবাসী চাই এই ঘটনাটার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক। ওই এলাকার মানুষের দাবি এখানে যারা টোল আদায় করবে তারা যেন অবশ্যই শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষ হয়।
এভাবেই চলতে থাকলে হয়তো এই ব্রিজের টোল আদায় করিরা কোন এক সময় মানুষকে খুন, জখম করে বসবে, কারণ তাদের হাত অনেক বড়, প্রতিবাদ বা জবাবদিহি করার সাহস এদের বিরুদ্ধে কারর নেই।এর আগে দলীয় সমাবেশে ব্রিজ পার হওয়ার সময় টোল আদায় কারীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে গ্যাঞ্জামে লিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল পর্যন্ত ভাঙচুর করে। তাহলে ওই ব্রিজে সাধারণ মানুষের সাথে কি ব্যবহার করতে পারে টোল আদায়কারীরা সেটা জানতে কারোও বাদ নেই। এই ব্যাপারে তনুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান মো:মেহেদী হাসান
সম্পাদক ও প্রকাশক: মনজুর আলম সরকার
Design and Development by www.itcaresbd.com