নগরের জলাবদ্ধতার ভোগান্তির অন্যতম কারণ
সিটি কর্পোরেশণের দায়িত্ব অবহেলা – শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
হাসান আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহাকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আলহাজ্ব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুতই মুক্তি মিলবে-প্রতি বছর এমন আশ্বাস দেন ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মেয়রের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। সুতরাং জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়রের বক্তব্য ফাকা বুলি ছাড়া আর কিছুই না। প্রতি বছর আমাদেরকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহানোর অন্যতম কারণ হলো সিটি কর্পোরেশের দায়িত্ব অবহেলা। কারণ বিগত দিনে যে সব কারণগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলো একে-অন্যের ওপর দায় চাপানো, খালগুলো অবৈধ দখলে থাকা, পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকা এবং সংশ্লীষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পরিকল্পনা না থাকা। কিন্তু ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপরও কেন জলাবদ্ধতা থেকে নিস্কৃতি মিলছে না নগরবাসীর? এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই।গতকাল ৯ আগস্ট’২৩ বুধবার সন্ধায় রাজধানীর ভাটারাস্থ আসসাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের “মিডিয়া উপকমিটির” সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর উত্তরের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক হাফেজ নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মুফতী নিজাম উদ্দীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী আরমান হুসাইন, যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক হাফেজ ইকবাল, শ্রমিক আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, আলী আকবর প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান কোন পূর্ব প্রস্তুতির চিহ্ন দেখা যায়নি। অথচ ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। বর্ষা মৌসুম এলেই জলজটে নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। আজ এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। আর যদি টানা বৃষ্টি হয় তাহলে তো জলে থৈ থৈ করে রাজধানী। একটি রাজধানীর এ রকম চিত্র পৃথিবীর কোথাও নেই। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখবো? এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের দুইবারের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ১২৫০ কিলোমিটারের ড্রেনহগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকেই। ২৯টি খাল উদ্ধার করে খনন ও পরিষ্কার রাখতে হবে। অন্যথায় নগরীর জলবদ্ধা নিরসন করা যাবে না।