মাটি মামুন রংপুর:-
রংপুরের পীরগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত শুভর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন ইয়াছিন।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম। এর আগে গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে পীরগঞ্জ থানায় ইয়াছিন আরাফাত শুভকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকার ভুক্তভোগী গৃহবধূ রাতের খাবার শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘর থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইয়াছিন আরাফাত শুভ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের এক মাটির ঘরে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূকে খুন করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন ইয়াছিন। পরে গৃহবধূর স্বামী টর্চ লাইট নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হয়ে ধর্ষণরত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে অভিযুক্ত ইয়াছিন আরাফাত শুভ পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ইয়াসিন আরাফাত শুভকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাত শুভ। অবিলম্বে শুভকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর প্রতিবেশীরা। রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল বলেন, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা আদর্শের জায়গা থেকে ছাত্র রাজনীতি করি। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। বিষয়টি আরও ভালো ভাবে জেনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবগত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।