গাজীপুর প্রতিনিধিঃ-
পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবু উজ জামান বলেন, টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ এলাকায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের মালিক হাজী সাইফুদ্দিনের ফ্যাক্টরীর কর্মরত প্রায় ৭৫০ জন শ্রমিকের মে, জুন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ-উল-আযহার বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ চলমান ছিল। গত ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শ্রমিকদের পাওনা আদায় করে দেয়ার জন্য শহীদুল ইসলাম তার সঙ্গী মোস্তফা, শরীফ এবং আকাশকে সাথে নিয়ে ফ্যাক্টরীর সামনে পৌঁছান।
শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে ২৬ জুন সকাল বেলা শ্রমিকদের পাওনাদি আদায়ের লক্ষ্যে এবং চলমান সংকট নিরসনে কলকারখানা অধিদপ্তরে নিয়ে যাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আলোচনা শেষ করে তারা ফ্যাক্টরীর সামনে পৌঁছামাত্র বিবাদী, মাজাহারুল ইসলাম, আকাশ, মো. রাসেল মন্ডল, রিপন, সোহেল, ম্যানেজার হানিফসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদেরকে গতিরোধ করে শহীদুল ইসলামকে হত্যার জন্য তার বুকে এবং মাথায় উপর্যুপরি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।
এ সময় উপস্থিত সাধারণ জনতা এবং পথচারীরা আহত শহীদুল ইসলামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি কল্পনা আক্তার বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহারনামীয় ১নং আসামী মাজাহারুল ইসলামকে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রোববার সকালে ময়মনসিংহ জেলার নামাপাড়া থেকে মো. রাসেল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গতকাল রাতে শিল্প পুলিশ অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার হানিফকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলোচিত হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।