মনজুর সরকার গাজীপুরঃ-
গাজীপুরে যৌতুকের দাবি করে মোসাম্মদ রিপা খাতুনের সংসার ভেঙে দিল প্রতারক ও বিয়েবাজ মাযহারুল। মোছাম্মদ রিপা খাতুন (২৮) আজ থেকে পাঁচ মাস আগে তার বিয়ে হয় মাজহারুল (৩৮)পিতাঃশাজাহান গ্রামঃ গজারচালা,তালতলী,তেলিহাটি,শ্রীপুর,গাজীপুরের সাথে। মোসাঃ রিপার দেশের বাড়ি রাজশাহী পিতাঃ চেমন আলী বর্তমানে থাকে গাজীপুর মহানগর বাসন থানাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসন থানার অপজিট সাইটে বাবু মিয়ার একটি বাড়াবাড়িতে মোছাম্মদ রিপা খাতুন এবং মাজারুলের সম্পর্ক হয় তারা দুজনে নাওজোড় নামক স্থানে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে একসাথে চাকরি করতো মাজহারুল ও মোাসাঃরিপা খাতুন এবং ওই ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিল মাজাহারুল এবং মোছাম্মদ রিফা তার অধীনস্থ অপারেটর ছিল সেই সূত্রে তাদের সম্পর্ক এবং পরিচয়, পরি নয় এবং বিয়ে পর্যন্ত্র হয়ে যায়।
গত ০৯/ ০৩ /২৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রতারক মাজহারুল রিপার কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করে পরে উক্ত এই বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে বিচারের মাধ্যমে সমাধান করে তারা সংসার করতে থাকে। গত ২৪/০৫/২৩ ইং মাজাহারুল আবার রিপার কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ভেঙেচুরে রিপারকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করে মারধর করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং গতকাল ২৮/০৫/২৩ ইং রিপার মুঠোফোনে ফোন করে মাজহারুলের অন্য স্ত্রী জানায় তোমাকে আমার স্বামী মাজহারুল তালাক দিয়েছে তোমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দাও আমি তালাকনামার কাগজ পাঠিয়ে দিচ্ছি মজার বিষয় হচ্ছে মাজহারুল কে বারবার প্রতারক বলে সম্বোধন করা হচ্ছে কারণ মোছাম্মৎ রিপার আগে মাজহারুল আরো তিনটি বিয়ে করেছে দুইটা স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছে বর্তমানে রিপা এবং সাথী দুইজন স্ত্রী তার বিদ্যমান সুমাইয়া, ও আফরোজা দুজন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছে।
লুকোমুখি জানা গেছে বর্তমানে মাযহারুল তার আগের স্ত্রী সাথীর সাথে সংসার করছে আমরা মিডিয়ার লোকজন মাজারুলের মুঠোফোন অনেকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি মাজহারুল রিপাকে মারধর করে চলে যাওয়ার সময় তার একটি এন্ড্রয়েড ফোন নিয়ে গেছে মোছাম্মৎ রিপা এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কাগজপত্র দিয়ে বাসন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে এবং যৌক্তিকের দাবিতে মারধর করে তালাক দিয়েছে বলে আদালতে একটি মামলা আজাহারের দাবী করেছে আমরা মাজহারুলের আরো কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি মাজহারুল বেশ কয়েকটি জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে যার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে বর্তমানে রিপার দাবি আদালতের মাধ্যমে তাহার দাবি-দাওয়া মিটিয়ে দেয়া হোক এবং সে এই ধরনের প্রতারকের যেন কঠিনতম শাস্তি হয়।