মাটি মামুন রংপুর:-
রংপুরে কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত লালমনিরহাটের বাদশা সাড়ে তিন বছর বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের বাদশার ওজন এখন ৩০ মন সারা শরীর কালো ও অসাধারণ গড়ন বাদশার। ৯ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার লালমনিরহাটের বাদশা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মায়াবী। ইতোমধ্যে উপজেলার সব থেকে বড় গরু হিসেবে লালমনিরহাটে বাদশার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গা থেকে বাদশা কে দেখতে মালিকের বাড়িতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
দু-একজন ক্রেতাও ঘুরে গেছেন খামারে।
রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৩নং তুষভান্ডার ইউনিয়নের ৭নং সুন্দরহবী এলাকার বাসিন্দা সাগর তার গরুর খামারে বর্তমানে ২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে এই ঈদে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এই ২টির মধ্যে সব থেকে বড় ষাঁড়টির নাম লালমনিরহাটের বাদশা ওজন ৩০ মন। খামাড়ি সাগর এই প্রতিবেদক কে বলেন,এই ষাঁড়টি আমাদের খুব আদরের,আমরা এই গরুটির নাম রেখেছিলাম লালমনিরহাটের বাদশা ওকে আমরা খুবই যত্ন করতাম। ভুসি, খড়-কুটো, কাঁচা ঘাসের সঙ্গে ভাত, আম, কলাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল খাওয়াতাম।
কখনো কোনো প্রকার স্টেরয়েড বা হরমোনজাতীয় ওষুধ ওর শরীরে পুশ করা হয়নি। এমনকি গরুর জন্য বাণিজ্যিক খাবারও খাওয়ানো হয়নি। সাড়ে তিন বছরে লালমনিরহাটের বাদশা এত বড় হবে, এটা আমি বুঝতে পারিনি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। লাখ দশেক টাকা হলে ওকে বিক্রি করে দেব। খামাড়ি সাগর আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অনৈতিক টাকার আশায় বসে না থেকে চাকরির পাশাপাশি কিছু করতে। সেই কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন আমি গরুর খামার শুরু করি। আল্লাহর রহমতে সফলও হয়েছি। গরু দেখতে আসা স্থানীয়রা বলেন, আমাদের জানামতে এই উপজেলায় এত বড় গরু আর নেই। এলাকার অনেকেই এই গরু দেখতে আসে। গরুটি অনেক বড়, খুবই সুন্দর দেখতে। বেকার থাকার পাশাপাশি এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন সাগর এটা দেখে এলাকার অনেকেই এখন গরু লালন-পালনে ঝুঁকছেন। আমর চাই এই গরু ভালো দামে বিক্রি হোক। এলাকার মানুষ আরও বেশি উৎসাহিত হোক।
লালমনিরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোশাররফ হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ গবাদিপশু পালন করেছে খামারি ও স্থানীয়রা। জেলার বেশির ভাগ খামারিই কাঁচা ঘাস,কুটা ও স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে গরু পালন করেন খামারটি অনেক পরিকল্পিত একটি খামার এই খামারের গরুগুলোও ভালো। আমার জানামতে, তারা কোনো প্রকার স্টেরয়েড বা হরমোন ব্যবহার করেন না। আশা করি, তার গরু ভালো দামে বিক্রি হবে